সিবিএন:
টেকনাফের নাফ নদী থেকে হোছন আহমদ (৩০) নামের এক রোহিঙ্গা যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রবিবার বিকেলে টেকনাফের খারাংখালীর নাফ নদীর ৩ নং স্লইচ গেইট থেকে ছুরিকাঘাত মৃতদেহটি  উদ্ধার করা হয়। নিহত যুবক কতুপালং অস্থায়ী শরণার্থী শিবিরের ডি ৪ ব্লকের উমর আলীর ছেলে ।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্র জানায়, ৩ দিন পূর্বে উখিয়া উপজেলার কতুপালং অস্থায়ী শরণার্থী শিবিরের ডি-৪ ব্লকের ৫ জন শরণার্থী নাফ নদীতে মাছ শিকারে যায়। নাফ নদীতে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে ওই যুবক মাথার নিচে ছুরিকাঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এ সময় অন্যান্যরা নিহতের চাচাতো ভাই আশরাফ জামানকেও খুন করতে চাইলে সে পালিয়ে শরণার্থী ক্যাম্পে ফিরে আসে। ফিরে আসা এই যুবক নিহতের স্বজনকে ওই ঘটনার বর্ণনা দেন। নিহতের আত্মীয়-স্বজন খুঁজাখুজির এক পর্যায়ে নাফ নদীর তীরে পাওয়া যায়।
হোয়াইক্যং ফাঁড়ীর ইনচার্জ এসআই বিবেকানন্দ দেব নাথ জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র তাদের অভ্যান্তরীন হামলায় শরণার্থী যুবক খুন হন এবং এ বিষয়ে মামলার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
নিহতের বড় ভাই সোনা মিয়া বলেন, ভাই, একই ব্লকের আব্দুল আমিন ও তার ভাই জাহানু, জহিরুল ইসলাম, ইলিয়াছ মিলে মাছ শিকারে গিয়ে এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় ঘটায়।
এ দিকে গোয়েন্দা সংস্থা এক কর্মকর্তা জানান, এ হত্যাকান্ডটি ইয়াবার কারণে হয়েছে। প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে এসে মাছ শিকারের প্রশ্নই আসেনা বলেও জানান তিনি।
টেকনাফ থানার ওসি রনজিৎ কুমার বড়ুয়া বলেন, নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে মর্গে রয়েছে।