জে,জাহেদ চট্টগ্রাম:

গাজীপুরের কিশোর সংশোধনাগারে জিজ্ঞাসাবাদে বির্মষ আদনান মির্জা।

যদিও জিজ্ঞাসাবাদের পর রোববার বিকেলে আদালতে জমা দেয়া এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ তথ্য পাওয়ার কথা জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। তবে তা কতটুকু সত্য তা নিরিক্ষায় রয়েছে।

চট্টগ্রাম মহানগর শিশু আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক জান্নাতুল ফেরদাউস চৌধুরীর কাছে এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

আদালত থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, প্রতিবেদন দাখিলের সাথে সানশাইন গ্রামার স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী তাসফিয়া হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত একমাত্র আসামি তার ছেলে বন্ধু আদনান মির্জার ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।

৩১ মে এ নিয়ে শুনানির দিন ধার্য রেখেছেন বিচারক। হয়তো যথাযোগ্য তথ্য পেতে সময় চেয়েছে পুলিশ।

একইসাথে ভিকটিম তাসফিয়ার পরনে থাকা কাপড়গুলো ডিএনএ ম্যাচ করানোর জন্য আবেদন করলে তা মঞ্জুর করে ঢাকার মহাখালীতে অবস্থিত সিআইডি ল্যাবে পরীক্ষার নির্দেশ দেয় আদালত।

আদনানের ব্যবহার করা মোবাইল ও তার সিমের সকল তথ্য পাওয়ার ব্যাপারে থানা পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তাকে সহযোগিতা করতে পিবিআইকে নির্দেশনা দিয়েছে আদালত।

তবে এখনো জানা যায়নি,সিএনজি ড্রাইভার কে? কোন সে সিএনজি? নাম্বার কত সে গাড়ির? এসব প্রশ্নের উত্তর পেতে ভিডিও ফুটেজের স্কিনশট চীনে পাঠানো হয়েছে বলে জানা যায়। যাতে সিএনজির গাড়ির নাম্বার পাওয়া যায়। সাথে মালিবাগ সিআইডি অফিস ও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী জানান, কিশোর সংশোধন কেন্দ্র গাজীপুরের তত্ত্বাবধায়কের উপস্থিতিতে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছেন। তাই তাকে আরো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করলে আদালত আগামী ৩১ মে রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেছেন।

প্রসঙ্গত, ২ এপ্রিল সন্ধ্যার পর নগরীর গোলপাহাড় এলাকা থেকে নিখোঁজ হয় তাসফিয়া। পরদিন ৩ এপ্রিল সকালে পতেঙ্গার ১৮ নম্বর ঘাটে পাথরের উপর উপুড় হয়ে থাকা অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

তার স্বজনদের অভিযোগ, একটি পক্ষ শুরু থেকেই তাসফিয়ার ঘটনাকে আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। এ ঘটনায় তাসফিয়ার বাবা মোহাম্মদ আমিন বাদী হয়ে নগরীর পতেঙ্গা থানায় ছয় জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

আদনান ছাড়া অন্য মামলার আসামিরা হলেন- মোহাম্মদ সোহাইল, শওকত মিরাজ, আসিফ মিজান, ইমতিয়াজ সুলতান ইকরাম ও মোহাম্মদ ফিরোজ। এর মধ্যে ফিরোজ সিএমপির তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী।

এদিকে ঘটনার পর শুধু আদনানকে গ্রেপ্তার করা হলেও অন্য আসামিদের ধরার বিষয়ে এখনো পুলিশের তৎপরতা লক্ষ্যণীয় নয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এমনকি উদ্ধার হয়নি তাসপিয়ার মোবাইল ও হাতের রিং সহ পোশাক পরিবর্তনের ইতিকথা। যদিও তাসপিয়ার বাবা জানান একই পোশাক ছিলো মেয়ের গায়ে।

সবকিছু মিলে কুয়াশায় পুলিশ,আসামীরা প্রকাশ্যে বলেও দাবি মামলার বাদীর।