আহমদ গিয়াস:
কক্সবাজার শহরতলীর দরিয়ানগরে দুইদিন ধরে পাখি নিধন বিরোধী অভিযান চালিয়েছে স্থানীয় বার্ড ক্লাবের শিশুরা। মঙ্গলবার ও বুধবার দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত চলা উক্ত অভিযানে বেশ কিছু পাখি শিকারীকে ধাওয়া ও ঘেরাওয়ের পর তীরস্কার করা হয়। এসময় শিকারীদের কাছ থেকে উদ্ধার করা বেশ কিছু পাখি ছানা প্রস্তাবিত দরিয়ানগর জীববৈচিত্র সংরক্ষণ পার্কে অবমুক্ত করে দেয়া হয়।
কক্সবাজার শহরতলীর দরিয়ানগরস্থ জীববৈচিত্র সমৃদ্ধ বানরের পাহাড়ে বিরল ও বৈচিত্রময় প্রজাতির পাখ-পাখালির বাস। প্রতিবছর বর্ষা ও শীতের আগে ডিম পেড়ে বাচ্চা ফুটানোর জন্য এখানে বাসা তৈরি করে শত শত পাখি। বাচ্চা ফোটার পর উড়াল দেওয়ার আগেই বাসা থেকে পাখি ছানা লুট করে স্থানীয় কিছু অজ্ঞ শিশু-শিশুর। এছাড়া গুলতি দিয়েও পাখি শিকার করা হয়। গত দুইদিনের অভিযানে দরিয়ানগর জুনিয়র বার্ড ক্লাবের সদস্যরা পাখি শিকারী শিশু-কিশোরদের তীরস্কারের পাশাপাশি পরিবেশে পাখির উপকারিতা সম্পর্কে তাদেরকে অবহিত করা হয়। ফলে বুধবার দুই শিশু নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে আর কখনও পাখি শিকার করবে না মর্মে অঙ্গীকার করে বার্ড ক্লাবের আন্দোলনে যোগদান করে। এসময় দুইশিশুকে বার্ড ক্লাবের শিশুরা অভিনন্দিত করে। অভিযানে অংশ নেয়া শিশুদের মধ্যে রয়েছে আহমদ আবরার, আইমন, মাহফুজ, আসরার, আলীয়া, জয়নাল, মেহেদী, সাইফুল, মৌমাছি, ওমর ফারুক, সার্জিল, ইউনুছ, হাসান, রানা ও আবদুল কাদের। অভিযানে শিশুদের সহযোগিতা করেন দরিয়ানগর বার্ড ক্লাবের সভাপতি আহমদ গিয়াস ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমদ।
উল্লেখ্য, স্থানীয় উক্ত পরিবেশবাদীদের তিন বছরের বেশি আন্দোলনের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন সম্প্রতি ৩০ একর জমি নিয়ে দরিয়ানগর জীববৈচিত্র সংরক্ষণ পার্ক বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। এ জন্য জেলা প্রশাসন ও সরকারের প্রতি অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়। পাশাপাশি স্থানীয়দের বাদ দিয়ে কথিত পার্ক বাস্তবায়ন কমিটি নামে কোন এনজিও’র হাতে উক্ত পার্ক তুলে দেয়ার ষড়যন্ত্র প্রতিহতেরও ঘোষণা দেয়া হয়।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।