মো: গোলাম মোস্তফা ( দুঃখু )

আমার স্বামী কিছু করে নাই,
ও মানুষের সেবক।
শুওয়ের বাচ্চা চুপ কর,
দিন শেষ এবার।
খেলা হবে তোর বুকে!

আমি একরামুল জনগনের সেবক।
আমায় শেষ করার আগে,
একবার বলে দেন?
কার আদেশে আমার বুকে,
বুলেটের গুলি চলবে।

রাষ্ট্র তুমি বলো?
আমার দোষ কি ছিলো.
বুলেটের গুলিতে,
শেষ করে দিলে আমার প্রাণ টা কে।

আব্বু তুমি কোথায়?
মাগো তুমি ঘুমাও।

আপনারা আমায় ছেড়ে দেন,
আমার রাজকুমারী দুই কন্যা
অপেক্ষা করছে অসহায় বাবার জন্য।

রাতের অন্ধকারে আমি আলো,
ভয়ের মাঝে আমি শক্তি।
বাবা আমি আদর্শ,
রাজকুমারীদেরর কাছে।

মাদকরূপে শয়তান যারা,
রয়ে গেলো আড়ালে।

আমি একরাম জনগনের সেবক,
দিতে হলো প্রাণ মাদকের দোষে
নিষ্ঠুর বুলেটের গুলিতে।

রক্ত আমার ইয়াবার নয়,
রক্ত আমার আদর্শ বাবার।

রক্ত আমার আদর্শ স্বামীর,
রক্ত আমার আদর্শ কমিশনার।

রক্ত লাগবে আরো,
বের করো বুক থেকে।
ওখানে পাবে না!
ইয়াবা নামক গন্ধ।

আমার বুকের রক্তে!
রাজকুমারীদের ভালোবাসার পরশ আছে,
অভিমানী স্ত্রীর ভালোবাসা আছে।

চোখ বন্ধ করলাম আমার রাজকুমারীরা।
ক্ষমা করে দিয়ো
আমার অভিমানী স্ত্রী।

বাবা আমরা তোমার রাজকুমারী,
একবার তাকাও মিষ্টি হাসি দিয়ে।
কেমন করে থাকবো ঘরে,
তোমার হাসির শব্দ না শুনে।

মা আমার কথা বলছে না,
তোমার রক্তমাখা লাশ দেখে।

বাবা ও বাবা,
লক্ষী সোনা বাবা আমার।
এত অভিমান করে না,
চোখ খুলে একবার বলো।
আমার রাজকুমারীরা বুকে আয়!

কথা দিচ্ছি আর কোন দিন,
অভিমান করে বসে থাকবো না।

আমাদের গল্প বলার রাজা,
এত রাগ করলে চলে।
গানের সুরে বলবে তুমি,
রাজকুমারীরা আয় তোরা বুকে।

মা গো, ও মা।
বাবা আমার শুয়ে আছে,
শক্ত কাঠের উপর।
তুমি একবার বলো না,
উঠে আসতে ঘরে।

সাদা কাপড়ে বাবা আমাদের,
শুয়ে আছে নীরবতা নিয়ে।
রাগ করেছে বাবা আমাদের,
তাই তো আর কারো কথা শুনছে না।

লেখক: শিক্ষার্থী-বিতার্কিক,সাংবাদিকতা বিভাগ,পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি,খুলশী,চট্টগ্রাম।