নিজস্ব প্রতিবেদক:

উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের দক্ষিণ মো. শফিরবিলে গাছ কেটে জমি দখলের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশ বিনষ্টকারী, ভূমিদস্যু, বনখেকো ও সরকারী জমি দখলবাজে লিপ্ত কতপিয় ব্যক্তিরা নিজের স্বার্থলোভে নানা ভাবে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে আসছে। কিন্তু তাদের পরিবেশ বিরোধী এমন কার্যকলাপ বন্ধ করার মতো কেউ নেই। বাহুবল এবং প্রাণনাশের ভয়ে কেউ তাদের অপকর্মের বিরুদ্ধে মুখ খুলছে না বলে সূত্র জানায়। অভিযুক্তরা হলো- দক্ষিণ মো. শফির বিল এলাকার হারুন অর রশিদ ও হুমায়ূন রশিদ।

উল্লেখ্য, জালিয়া পালং ইউনিয়নের দক্ষিণ মো. শফিরবিল এলাকার বৈরাগীর ছড়ার দক্ষিণ পাশে এ.এস.আই হাসানের বাড়ির উত্তর পাশে বন বিভাগের জমির উপর অবস্থিত প্রায় ১৫০ বছরের পুরানো সাপালিশ গাছ (মাদার গাছ) টি তারা সু-কৌশলে কেটে ধ্বংস করে দিয়েছে। তাদের লক্ষ্য গাছটি কেটে নিজেদের আয়ত্বে রাখা এবং গাছ কাটা স্থিত স্থানটি জবর দখল করা। গাছ কাটার ব্যাপারে এলাকার সচেতন ও মান্যগণ্য ব্যক্তিগণ নিষেধ করলেও তা কর্ণপাত করেনি তারা। এই দুই সহোদরের অপকর্মে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হবে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।

এব্যাপারে জালিয়াপালং এর চেংছড়ি বঙ্গবন্ধু স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহ্যবাহী ফেলেরাম রোয়াজার বাড়ীর সদস্য রবি অং চাকমা উল্লেখিত ব্যক্তিদের অভিযুক্ত করে পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার জেলা অফিসার, কক্সবাজার জেলা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (দক্ষিণ বন বিভাগ) এবং উখিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) বরারর অভিযোগ পত্র দায়ের করে। একটি সুন্দর সমাজ ব্যবস্থার জন্য, পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্টকারী দুই ভাইয়ের অপকর্ম থেকে পরিত্রান পেতে চাই এলাকাবাসী। সেই সাথে তাদের অপকর্ম থেকে নিজেদের ও পরিবেশকে বাঁচাতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন সচেতনমহল।