হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ :

টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ে সড়ক দূঘর্টনায় আহত রিক্সা চালককে চিকিৎসার নামে গাড়িতে তুলে প্রধান সড়কে ফেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা জনমনে চরম ক্ষোভের সঞ্চার করেছে।

জানা যায়, ১৮ জুন রাত সাড়ে ৯টার দিকে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কম্বনিয়াপাড়ায় বসবাসকারী হ্নীলা পশ্চিম পানখালীর মৃত ফকির মোহাম্মদের পুত্র রিক্সা চালক শামসুল আলম (৪৮) খারাংখালী ষ্টেশনে অটোরিক্সা চার্জে দেওয়ার জন্য যাত্রাকালে টেকনাফ হতে কক্সবাজারগামী কাঞ্জর পাড়ার আব্দু শুক্কুর কোম্পানীর মালিকানাধীন একটি যাত্রী বোঝাই স্পেশাল বাস (কক্সবাজার-জ-১১-২০৫৩) চাপা দিলে ঘটনাস্থলে পড়ে অজ্ঞান হয়ে যায়। চালক ও হেলপার উক্ত রিক্সা চালককে চিকিৎসার নামে তুলে নিয়ে দক্ষিণ নয়াবাজার সংলগ্ন সাবেক মেম্বার রওশন আলীর বাড়ির সামনে সড়কের পশ্চিমে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে যাওয়ার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়ির চালক ও যাত্রীরা দেখতে পেয়ে হোয়াইক্যং হাইওয়ে পুলিশকে খবর দেয়। হোয়াইক্যং হাইওয়ে পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এএসআই রাজু কান্তি দাশ ধাওয়া করে বাসটিকে কাঞ্জরপাড়া হতে আটক করলেও চালক-হেলপার পালিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই গুরুতর আহত অটো রিক্সা চালক শামসুল আলম (৪৮) বিনা চিকিৎসায় প্রধান সড়কের উপর মারা যান। সড়কে যানবাহন আইনী দূর্বলতার সুযোগে অনেক চালক-হেলপার ঘাতকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। নিহত রিক্সা চালকের বাড়িতে স্ত্রী এবং ৭ ছেলে-মেয়ে রয়েছে।

১৯ জুন রাতে মালিক পক্ষ এবং নিহত পক্ষের সাথে সমঝোতা বৈঠক করে বিষয়টির সমাধান বের করার চেষ্টা করলেও দূঘর্টনার কবলে পড়া আহতকে চিকিৎসার নামে গাড়িতে তুলে অপর স্থানে নিয়ে রাস্তায় ফেলে দিয়ে হত্যার বিষয়টি ফাঁস হওয়ার পর ক্ষুদ্ধ জনসাধারণ প্রধান সড়কে লাশকে ঘিরে ভিড় জমায়। পুলিশ খবর পেয়ে সম্ভাব্য অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করে। বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ ন্যাক্কারজনক এই ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে ফাঁসির দাবী জানিয়েছে।