প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
কুতুবদিয়ায় নৌকা প্রতীকের সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রার্থী আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন পরিবেশ বিজ্ঞানী ড. আনসারুল করিমের বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২২ জুন) ধুরুং হাইস্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত জনসভায় হাজারো মানুষের ঢল নামে।
জনসভায় জনগণ বর্তমান সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক এবং সাবেক সাংসদ হামিদুর রহমান আযাদের ভূমিকা নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, বর্তমান সরকারের প্রথম মেয়াদে এমপি ছিলো জামায়াত নেতা হামিদুর রহমান আযাদ। তিনি এলাকার জন্য কিছুই করেননি। বর্তমান মেয়াদে ভোটবিহীন সাংসদ হন আশেক উল্লাহ রফিক। ক্ষমতাসীন দলের এমপি হয়েও মহেশখালী-কুতুবদিয়ার উন্নয়নের জন্য বিন্দু পরিমাণ আগ্রহ দেখাননি তিনি।

তারা বলেন, বর্তমান সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক বিভিন্ন সভা-সেমিনারে বলে বেড়ান, তিনি নাকি মহেশখালী-কুতুবদিয়াকে উন্নয়নের জোয়ারে ভাসিয়েছেন। এসব মিথ্যাচার। প্রকৃত বিষয় হলো, বেড়িবাঁধের উন্নয়ন না হওয়ায় কুতুবদিয়ার মানুষ উন্নয়নের বদৌলে পানির জোয়ারে ভাসছে।

ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহেশখালী-কুতুবদিয়াকে ঘিরে যে উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়েছেন তা নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই। কিন্তু এমপি মহোদয় যদি বেড়িবাঁধের উন্নয়নের জন্য বিন্দু পরিমাণ চেষ্টা করতেন তাহলে মানুষকে জোয়ার-ভাটার সাথে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকতে হতো না। কারণ কুতুবদিয়ার মানুষের একমাত্র সমস্যা বেড়িবাঁধ। যেখানে বেড়িবাঁধের কোন উন্নয়ন হয়নি, সেখানে ওনি (বর্তমান সাংসদ) কিভাবে বলেন কুতুবদিয়ার মানুষ উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে। এখন সময় এসেছে, সেই ভুল শোধরে নেওয়ার। আমরা চাই আপনি (ড. আনসারুল করিম) সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে আমাদের কথা গুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তুলে ধরুন। আমাদেরকে পানিবদ্ধ জীবন থেকে মুক্তি পেতে সহযোগিতা করুন।


স্থানীয়দের বিক্ষুব্ধ বক্তব্যের পর মহেশখালী-কুতুবদিয়ার মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের আজীবন লড়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন ড. আনসারুল করিম।

এর আগে কুতুবদিয়ায় ড. আনসারুল করিমের সমাবেশের খবর ছড়িয়ে পড়লে দলে দলে বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন দুপুর থেকেই জড়ো হতে থাকে। কানায় কানায় ভরে উঠে হাইস্কুল মাঠ।

সমাবেশে সভাপত্বি করেন উত্তর ধুরুং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিউল মোর্শেদ। এতে বক্তব্য রাখেন মহেশখালী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. মোস্তাক আহমেদ, কুতুবদিয়ার মজলুম জননেতা মনোয়ারুল ইসলাম মুকুল, ব্যারিস্টার আদনান করিম, আয়মান করিম, লেমশীখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ রফিক সিকদার, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম, সাবেক ছাত্রনেতা সরওয়ার আলম ছুট্টু, উত্তর ধুরুং ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক শওকত ওসমান, যুগ্ম আহ্বায়ক জুনাইদুল হক, কৈয়ারবিল ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক ফখরুল হাসান টুটুল, যুগ্ম আহ্বায়ক কফিল উদ্দিন, দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক মোহাম্মদ হোছাইন, যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ওমর, উত্তর ধুরুং ইউপির ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুল হালিম, বড়ঘোপ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সভাপতি ও মেম্বার নাছির উদ্দিন, বড়ঘোপ ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজেম উদ্দিন, উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সাবেক সভাপতি কফিল উদ্দিন ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম টিটু মাতব্বর, চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ওমর ফারুক, দক্ষিণ ধুরুং এর বিশিষ্ট শ্রমিকলীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম, উত্তর ধুরুং এর বিশিষ্ট শ্রমিকলীগ নেতা আব্দুস সালাম প্রমুখ।