নুরুল কবির বান্দরবান:

পাহাড়ের ভূমি সমস্যা সমাধানে বান্দরবানে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনের দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ আড়াই ঘন্টা ব্যাপী চলা এ বৈঠকে ভূমি কমিশনের জনবল সংকট, বিধিমালা সংশোধন এবং ভূমি বিরোধ নিস্পত্তির জমা পড়া আবেদনপত্র’গুলো যাচাই বাছাই নিয়ে আলাপ-আলোচনা হয়েছে বলে জানা যায়।

পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যদের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) রাঙামাটি চাকমা রাজা ব্যারিষ্টার দেবাশিষ রায়, খাগড়াছড়ি মং রাজা সাচিং প্রু চৌধুরী, বান্দরবান বোমাং রাজা প্রকৌশলী উচপ্রু চৌধুরী, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা, চট্টগ্রাম অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোমেনুর রশীদ আমীন উপস্থিত ছিলেন।

তবে অসুস্থার কারনে নয় সদস্য বিশিষ্ট কমিটির মধ্যে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরি চৌধুরী সভায় অনুপস্থিত ছিলেন ।

জানাগেছে, এ পর্যন্ত তিন পার্বত্য জেলায় ২২ হাজার ৮৮১টি আবেদন জমা পড়েছে। তারমধ্যে বান্দরবান জেলায় ৪ হাজার ৫৬৮টি, রাঙামাটি জেলায় ৯ হাজার ৯৪০টি এবং খাগড়াছড়ি জেলায় ৮ হাজার ৩৭৩টি।

পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় সন্তু লারমা, সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন ভূমি কমিশনের কাজ যে পরিমান এগিয়ে যাওয়ার কথা ছিল সে পরিমান আগায়নি। ভুমি বিরোধ নিষ্পত্তি করতে হলে আগে সে গুলো সমাধান করতে হবে।

এদিকে বৈঠক শেষে ভুমি কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ার উল হক সাংবাদিকদের বলেন, প্রথম পর্যায়ে ভারত থেকে প্রত্যাগত শরনার্থী যারা এখানে রয়েছে তাদের সমস্যা গুলো নিয়ে কাজ শুরু হবে এবং অন্যান্য মামলাগুলো পর্যায়ক্রমে করা হবে। তিনি আরও বলেন, বান্দরবান ও রাঙ্গামাটি ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির শাখা অফিস খোলা হয়েছে। এ পর্যন্ত কমিশনে প্রায় ২৩ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। আবেদনগুলোর যাচাই-বাচাই করে কাজ শুরু করা হবে।