ডেস্ক নিউজ:
বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকির মধ্য রয়েছে জানিয়ে বহুমুখী সংস্থা বিশ্বব্যাংক বলছে, বাংলাদেশে ২০১৬ সালে জনসংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৩০ লাখ। এর মধ্যে ১৩ কোটি ৩৪ লাখ মানুষ জলবায়ু ঝুঁকির মুখে রয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ওয়েবসাইটে সম্প্রতি প্রকাশিত ‘সাউথ এশিয়াস হটস্পটস’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন এ ঝুঁকির কথা বলা হয়।
দক্ষিণ এশিয়ার মানুষের জীবনযাত্রায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে বিশ্বব্যাংক। প্রথমবারের মতো তৈরি এ প্রতিবেদনে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি এবং বৃষ্টিপাতের ধরন পরিবর্তনজনিত প্রভাব নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে। এই গবেষণার ফলে সৃষ্ট ক্ষতি আর্থিক মূল্যে পরিমাপ করার চেষ্টা করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এশিয়া অঞ্চলে গড় তাপমাত্রা ক্রমশ বাড়ছে। একইসঙ্গে, বৃষ্টিপাতের বর্ষা ঋতুর আচরণ বদলে গেছে। ফলে পুরো দক্ষিণ এশিয়ার কৃষির ওপর ইতোমধ্যে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশের নিচু ও উপকূলীয় এলাকা এবং মালদ্বীপ আরও বেশি বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। বাংলাদেশের ১০ জেলা সর্বাধিক জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকিতে রয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। ঝুঁকিপূর্ণ এসব জেলাগুলো হলো চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, নোয়াখালী, ফেনী, খাগড়াছড়ি, বরগুনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা।
এর মানে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মুখে রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগের মানুষ। জলবায়ু পরিবর্তন এই ধারায় চলতে থাকলে আর্থিক ক্ষতির কারণে ওই অঞ্চলের মানুষের ভোগব্যয় কমে যাবে ১৪ শতাংশের বেশি।
বিশ্বব্যাংক বলছে, গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণের পরিমাণ কমিয়ে আনা না গেলে, অর্থাৎ জলবায়ু পরিবর্তনের গতি কমিয়ে আনার চেষ্টা না হলে সেজন্য ক্ষতির মুখে পড়তে হবে দক্ষিণ এশিয়ার ছয় দেশের ৮০ কোটি মানুষকে।
আর সামষ্টিকভাবে ক্ষতি কমিয়ে আনার কিছু পদক্ষেপ নেয়া হলে ঝুঁকির মুখে থাকা মানুষের সংখ্যা কমে হবে সাড়ে ৩৭ কোটি।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।