বিশেষ প্রতিবেদক:
বাংলাদেশের মাতৃমৃত্যু প্রতি লাখে ১৭৬ জন থেকে কমিয়ে ৭০ বা তার কমে নামিয়ে আনার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে, যাতে করে ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাসমুহ (SDGs) অর্জিত হয়। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই লক্ষ্যমাত্রাসমুহ অর্জন করা কোন কঠিন বিষয় নয়। সরকারের এই লক্ষ্যমাত্রাসমুহ অর্জনে ‘হোপ ফাউন্ডেশন ফর উইমেন এন্ড চিলল্ড্রেন অব বাংলাদেশ’ ইতিমধ্যেই বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। তন্মধ্যে কমিউনিটি/গ্রাম পর্যায়ে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত কমিউনিটি ম্যাটার্নিটি স্বাস্থ্যকর্মী তৈরী একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ।

 ২০২৫ সালের মধ্যেই কক্সবাজার জেলার মাতৃমৃত্যু সন্তোষজনক হারে কমিয়ে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং কক্সবাজার জেলাকে মডেল জেলা হিসাবে সরকারের কাছে তুলে ধরা হবে- এমন অভিমত ব্যক্ত করেন হোপ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট ডা. ইফ্তিখার মাহমুদ, এমডি।

তিনি বলেন, যেহেতু বাংলাদেশে এখনও প্রায় ৫৩% বাচ্চা ডেলিভারী বাড়ীতেই হয়ে থাকে (সূত্র: বিএমএমএইচএস ২০১৬) সেহেতু আমাদের কমিউনিটি/গ্রাম পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা পৌাঁছানোর জন্য আরো বেশী কাজ করতে হবে। আর সে লক্ষ্যেই হোপ ফাউন্ডেশন সম্পূর্ন নিজস্ব অর্থায়নে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত কমিউনিটি ম্যাটার্নিটি প্র্যাকটিশনার তৈরীর কাজ হাতে নিয়েছে।

প্রাথমিকভাবে কক্সবাজার সদর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল থেকে ১২ জন মহিলা কর্মীকে হোপ ফাউন্ডেশন নিয়োগ প্রদান করে তাদেরকে যথাযথ প্রশিক্ষণের জন্য রংপুরের ‘সোসাইটি ফর হেলথ্ প্রোমোশন লিংকস্’ নামক একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে নয় মাসের আবাসিক ‘কমিউনিটি ম্যাটার্নিটি প্র্যাকটিশনার’ কোর্সের জন্য পাঠিয়েছে। খুব শীগ্রই এই সকল দক্ষ ও প্রশিক্ষিত কমিউনিটি স্বাস্থ্যকর্মীরা তাদের নিজ নিজ এলাকায় ফিরে এসে কাজ শুরু করবে এবং হোপ ফাউন্ডেশনের এই ধরনের কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

 ২০৩০ সালের আগেই মাতৃমৃত্যুর হার কমানোর যে টার্গেট অর্থাৎ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDGs) অর্জন সম্ভব বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রতিষ্ঠানটির বাংলাদেশ কান্ট্রি ডাইরেক্টর এস এম ফেরদৌসুজ্জামান।

তিনি বলেন, কক্সবাজার জেলার মাতৃমৃত্যুর হার কমানোর জন্য আমরা তিনটি ধাপেই কাজ করে যাচ্ছি। প্রথমত; হোপ হসপিটাল, চেইন্দা, মিঠাছড়ি এর মাধ্যমে সেবা প্রদান।

দ্বিতীয়ত; কমিউনিটি/গ্রাম পর্যায়ে হোপ বার্থ সেন্টার স্থাপনের মাধ্যমে সেবা প্রদান এবং তৃতীয়ত; বাড়ীতে বাড়ীতে গিয়ে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত কমিউনিটি ম্যাটার্নিটি স্বাস্থ্যকর্মীদের মাধ্যমে মায়েদের সেবা প্রদান। আর এই সকল কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমেই মাতৃমৃত্যু কমানো সম্ভব। তাই এখন শুধুমাত্র প্রয়োজন যথাযথ প্রচার-প্রচারণা আর এই মহৎ কাজে সংবাদপত্র-মিডিয়ার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন বলে তিনি আরো মনে করেন।

{হোপ ফাউন্ডেশন ফর উইমেন এন্ড চিলল্ড্রেন অব বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে লিখুন: coohopef@gmail.com}