ডেস্ক নিউজ:
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির প্রত্যন্ত পাহাড়ী এলাকায় এক স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুই শিক্ষার্থীকে (চাচাতো বোন) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। প্রায় দুই সপ্তাহ আগের এ ঘটনা প্রকাশ হওয়ার পর পালিয়েছেন ওই শিক্ষক।
‘ধর্ষণের শিকার’ দুই ছাত্রীর চাচা বুধবার (৪ জুলাই) ভুজপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার পর দুই ভিকটিমকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে।
ওই স্কুল শিক্ষকের নাম আবু হাশেম। তিনি ফটিকছড়ির রাজারটিলা নুর আহম্মদ শামছুন্নাহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
ভুজপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বায়েস আলম জাগো নিউজকে বলেন, ‘এ মাসের (জুলাই) শুরুকে ঘটনা ঘটলেও তা প্রকাশ পায় কয়েকদিন আগে। দুই শিক্ষার্থীর চাচা বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার পরপরই দুই ভিকটিমকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরীক্ষা করানো হয়েছে। তবে ঘটনা প্রকাশের পরে আসামি আবু হাশেম গা ঢাকা দিয়েছেন। তাকে গ্রেফতারে চেষ্টা করছে পুলিশ।’
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফটিকছড়ির নারায়ণ হাটের চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে রাজারটিলা নুর আহম্মদ শামছুন্নাহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সদ্য প্রেষণে বদলি হন শিক্ষক আবু হাশেম। তার স্ত্রীও ভুজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। স্কুলের পাশের এলাকায় তিনি ভাড়া বাসায় থাকেন।
ভুজপুর স্কুলের ওই দুই ছাত্রী (চাচাত বোন) আবু হাশেমের বাসায় তার স্ত্রীর কাছে প্রাইভেট পড়তো। স্ত্রীর ব্যস্ততায় আবু হাশেমও মাঝে মধ্যে তাদের পড়াতেন। গত ১ জুলাই সন্ধ্যায় ৩য় শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই শিক্ষার্থী পড়তে গেলে স্ত্রীর অনুপস্থিতে আবু হাশেম নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে। বাসায় ফেরার পর যন্ত্রণায় কান্নাকাটি করলে মায়ের জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনা প্রকাশ পায়। বিষয়টি জানাজানির এক পর্যায়ে ওই ছাত্রীর চাচাত বোনকেও শিক্ষক আবু হাশেম ধর্ষণ করেছে বলে প্রকাশ পায়।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।