১১ জুলাই কক্সবাজারের স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত “২০ মামলা নিয়ে প্রকাশ্যে ইয়াবা এনাম ” চলছে হামলা, লুটপাট, ভাংচুর ও ইয়াবা-হুন্ডি বানিজ্য। উক্ত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংবাদটি দেখে আমি প্রথমে হতভম্ব হয়ে পড়ি। কারন সংবাদ প্রকাশের একদিন আগে আমার তিনটি প্রতিষ্ঠানে ন্যাক্কারজনক হামলা করে তিন কর্মচারীকে আহত করেছে। লুট করেছে বিভিন্ন মালামাল ও নগদ টাকা। খবর পেয়ে টেকনাফ থানার পুলিশ এসে ঘটনার সম্পূর্ন সত্যতা পায়। এই সংবাদটি প্রায় সাংবাদিক-মিডিয়া গুরুত্বসহকারে প্রচার করেছে। কিন্তু একদিনের মাথায় আমি অধরা আমি হামলাকারী বলে কিভাবে সংবাদ প্রকাশিত হলো তা জাতির বিবেক খ্যাত সমস্ত সাংবাদিক ভাইদের উপর ছেড়ে দিলাম। আমার কোন দুংখ নেই কোন ব্যথা নেই। জুলুম নির্যাতন হতে হতে আর কোন আশ্রয়ের জায়গা নেই। প্রিয় পাঠক ও সচেতনমহল আপনারা নিশ্চয়ই জানেন আমার ৮নং ওয়ার্ডের নাজিরপাড়ায় কি হচ্ছে কারা করছে অহরহ ঘটনা। আমি পারিবারিক জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গেল নির্বাচনে কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে মেম্বার নির্বাচন করে বিপুল ভোটে জয়লাভ করি। আমি একজন কক্সবাজার জেলার স্বনামধন্য ফুটবলার, প্রতিষ্টা করেছি নাফ সিটি ফুটবল ক্লাব ও শেখ জামালসহ অসখ্য খেলোয়াড়। এলাকার উন্নয়নে রেকর্ড সৃষ্টি করেছি। আমি মনে করি এটাই আমার দোষ। ইয়াবা ও দখলবানিজ্য করে একটাকা কারও কাছ থেকে নিয়েছি এরকম কেউ প্রমান দিতে পারবেনা ইনশাল্লাহ। আজ আমি ও আমার পরিবার চরম অসহায় এলাকায় কিছু হলেই এনাম মেম্বারের দোষ। একশ্রেনীর চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের হামলায় দিনদুপুরে আমার ভাই আজিজুল হক মার্কিনকে হারিয়েছি। আরেক মৌলভী ভাই নুরুল হককে পঙ্গু হিসেবে লালনপালন করছি। তবুও শান্তিপ্রিয় এলাকার জনগণের অকৃত্রিম ভালোবাসায় এগিয়ে যাচ্ছি। এটাই আমার ও পরিবারের একমাত্র দোষ। প্রিয় পাঠকমহল, নিশ্চয় অবগত আছেন ১৮টি মামলা নিয়ে প্রকাশ্যে ইয়াবা ভূট্টো ও ভাগ্নে হেলাল বাহিনী, আবছার বাহিনী, ও তার ছোট ভাই খোকন বাহিনী চালাচ্ছে অস্ত্রের মহড়া, প্রকাশ্যে হামলা, লুটপাট ভাংচুর জমি দখল ইয়াবা ও মানব পাচার বাণিজ্য করেই যাচ্ছে সেটা প্রমানিত আছে এবং মামলাও আছে।
নুরুল হক ভূট্টো প্র: ইয়াবা ভূট্টো টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নাজির পাড়ার সাবেক সন্ত্রাসী আবাল বৃদ্ধ এজাহার মিয়ার ছেলে ডিবিসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর হামলা ইয়াবা অস্ত্র জমি দখল মারধর ত্রাস সৃষ্টি সহ প্রায় ১৮টি মামলার আসামী তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তালিকায় ইয়াবা ব্যবসায়ী হিসাবে শীর্ষে রয়েছেন তার নাম কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় কিছুদিন আত্মগোপনে থাকলেও বর্তমানে এই শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ীও সন্ত্রাসীর গডফাদার ও তার ভাগ্নে বেলাল, হেলাল, আবছার, মো: হোছন প্র: ডাকাত কামাল ও তার ছোটভাই খোকন প্র: ইয়াবা খোকন, নুর মোহাম্মদ মংগ্রীসহ সবাই প্রকাশ্যে ঘুরছেন এমনকি এলাকায় গত ৯/৭/১৮ইং তারিখে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আমার দোকান ভাংচুর ও লুটপাটসহ ঐ সময় এলাকার নিরহ ব্যক্তি আসাদুজ্জামান শহীদের উপর হামলা পরে তাহাকে জিম্মি করে গ্রামের পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়। পরে পুলিশের এসআই নাজমুল আসাদুজ্জামান শহীদকে উদ্ধার করে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গিয়ে উন্নত চিকিৎসা করেন কিছুক্ষন পরে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে শহীদ আজিজুল হক মার্কিনের হত্যাকারীরা আবারো মার্কিনের বাড়ীতে এসে ৪/৫ রাউন্ড গুলি বর্ষন ও বিধবা মার্কিনের স্ত্রীর উপর অমানবিক নির্যাতন চালিয়ে বাড়ির মালামাল লুটপাটসহ ৫ ভরি স্বর্নালংকার নিয়ে যায়। পরে টেকনাফ থানার পুলিশ খবর পেয়ে সেকেন্ড অফিসার আতিকুর রহমান ও এসআই নাজিমসহ ইয়াবা ভুট্টোর বাসায় অভিযানে গেলে ইয়াবা ভূট্টোসহ সব আসামীরা ঘরের ভিতর ছিল পুলিশ দরজা খুলতে বললে ঐ আসামীরা কৌশলে পালিয়ে যাই গত কিছুদিন আগে ইয়াবা ভুট্টোসহ তার বাহিনীরা হামলা চালায় এলাকার ক্রীড়া ও সমাজ সেবক মো: ইয়াকুবকে এমনকি গত একবছর আগে চট্টগ্রামের চন্দনাইশে সিআইডির হাতে আটক হন। সেই আলোচিত ইয়াবা ব্যবসায়ী ভুট্টোসহ পরিবারের সবাই এমন কি কারাগারে থাকার পরেও থেমে থাকে নাই তার ইয়াবা ব্যবসা কারাগারে থাকা অবস্থায় ইয়াবার টাকা দিয়ে দশ একর জমি ক্রয় করেন প্রবাসী ইসমাঈলের কাছ থেকে যার জমির মূল্য ২ কোটি টাকা, উপজেলা চেয়ারম্যান এর ছেলে দিদারের কাছ থেকে পল্লানপাড়ার তিন রাস্তার মোড়ে জমি ক্রয় করেন দেড় কোটি টাকা দিয়ে। জেলে থাকার পরেও থেমে নাই তার ইয়াবা ব্যবসা। তাদের কাছ থেকে সিআইডির হাতে মিলে নগদ টাকাসহ তার নামে পিতার নামে ও তার বড় ভাই নুরমোহাম্মদ মংগ্রীর নামে মাত্র ছয় বছরের ব্যবধানে ২০ কোটি টাকার হিসাব মিলে এইদিকে গত ৪/১১/১৩ ইং তারিখে ঈদুলফিতর নামাজকে কেন্দ্র করে দিবালোকে কয়েক রাউন্ড গুলি বর্ষন করেন এসময় দুদুমিয়ার পাঁচ বছরের শিশুকন্যা নিহামনির চোখের ডান চোখ নষ্ট হয়ে যায়। এঘটনায় নিহামনির পরিবারের পক্ষ থেকে টেকনাফ থানায় মামলাও রয়েছে। গত ২০১৬ সালে কক্সবাজারের ৬ সাংবাদিক সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে তাহাদের উপর হামলাও প্রকাশ্যে কোপায় পরে সাংবাদিক তৌফিকুল ইসলাম (লিপু) বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন। গত ৪/১১/১৩ইং তারিখে জালিয়াপাড়ার মৃত ওমর ছিদ্দিক মেম্বারের ছেলে আলী আকবরকে প্রকাশ্যে দিবালোকে কোপায় গত ২১/২/১৫ইং তারিখে মায়ানমার থেকে ভূট্টোর ইয়াবার চালানের গোপন খবর পেয়ে তৎকালীন হাবিলদার সামশুর নেতৃত্বে বিশ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করেন ঐসময় বিজিবি কে লক্ষ করে গুলি করে পালিয়ে যাই। পরে ভুট্টোর সহযোগী মোঃ হাসিমের ছেলে আয়ুবকে আটক করতে সক্ষম হন। এঘটনায় ইয়াবা ভূট্টোসহ তাদের বাহিনীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন টেকনাফ উপজেলাবাসীর দাবী একজন রিক্সাচালক ইয়াবা ব্যবসা করে এত অর্থ সম্পদের মালিক কি করে হলেন ? ইয়াবা ব্যবসা করে তিনটি বাড়ি দুটি ডাম্পার, চারটি নোহা দুটি বড়মাপের ট্রাক নিম্নশ্রেণীতে ৫০ একর জমিসহ অসংখ্য অর্থ সম্পদের মালিক। তার ইয়াবা নিয়ন্ত্রণকারীরা হচ্ছে তার ভাই নুরমোহাম্মদ মংগ্রী নুরুল আবছার প্র: খোকন নুরুল আমিন প্র: নুরু তার ভাগ্নে বেলাল, আবছার হেলাল জলাল, নবীউল্লাহ, আব্দু শুক্কুরসহ আরও অনেকে ইয়াবা সিন্ডিকেট। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্র জানায়-টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নাজিরপাড়া ইয়াবা ট্রানজিট পয়েন্ট নিয়ন্ত্রণ করেন ভুট্টো বাহিনী ইয়াবা কেউ মুখ খোলার সাহস পাচ্ছে না ইয়াবা ব্যবসার মাধ্যমে ঘরে তুলেছেন সন্ত্রাসী বাহিনী হটাৎ আঙুল ফুলে কলাগাছে পরিণত হয় ভুট্টো বাহিনী মিয়ানমার ভিত্তিক শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী সাথে আতাত করে এলাকার উঠতি বয়সী যুবকদের অল্পদিনের কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখিয়ে বৃহত্তর সিন্ডিকেট গড়ে তোলে। মার্কিন হত্যার মামলার বাদী জানান-আলোচিত মার্কিন হত্যার নিয়ন্ত্রণকারী ও মুল হত্যার সহযোগিতা কারী ভুট্টোবাহিনী ও তার ভাগ্নেসহ সবাই জড়িত কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার সাহস পাইনি আমি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করলে মার্কিনের মত আমাকেও হত্যা করা হত বলে দাবী করেন। মামলার বাদী আরও জানান কয়েকদিন আগে আমাকে ও অত্র এলাকার নুরানী মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ নুরুল হককে কয়েক দফা হামলা চালায় হামলা চালানোর পরেও তাদের ইচ্ছা সম্পুর্ন না হওয়ায় আবারো আমাদের প্রতিষ্টান এর উপর হামলা ও লুটপাট করে নিয়ে যাই। আমি শুরু থেকে এ পর্যন্ত সমস্ত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই। তদন্তে যদি আমি ও আমার পরিবার দোষি প্রমানিত হয় তাহলে সমস্ত শাস্তি মাথা পেতে নিতে প্রস্তুত আছি। আমি প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। পাশাপাশি উক্ত সংবাদে কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
প্রতিবাদকারী
এনামুল হক
মেম্বার
৮নং ওয়ার্ড, টেকনাফ সদর ইউনিয়ন, টেকনাফ, কক্সবাজার।
প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে টেকনাফ সদরের জনপ্রিয় কনিষ্ট মেম্বার এনামের বক্তব্য
পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।