আতিকুর রহমান মানিক :
সারা দেশের ন্যায় কক্সবাজার জেলায়ও জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন ২০১৮ বাস্তবায়ন উপলক্ষে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
এ কর্মসূচীর আওতায় জেলার ৮ উপজেলায় ৭২ ইউনিয়নের ৪ লাখ ৫১ হাজার ৬৬৫ শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল। এরমধ্যে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৫২ হাজার ৩৩০ জন ও ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী রয়েছে ৩ লাখ ৯৯ হাজার ৩৩৫ শিশু।
আগামী ১৪ জুলাই সারাদেশের ন্যায় কক্সবাজারেও জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন চলবে। আট উপজেলা ছাড়াও পৃথকভাবে কক্সবাজার পৌরসভায় এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
১২ জুলাই (বৃহস্পতিবার) সকাল ১১ টায় জেলা ইপিআই সেন্টারে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন (১ম রাউন্ড) সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এক সাংবাদিক অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে এসব তথ্য জানান কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ আবদুস সালাম।
তিনি জানান, ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন বাস্তবায়নের জন্য জেলায় টিকাদান কেন্দ্রের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৯৫১ টি। এরমধ্যে স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্র ৯, অস্থায়ী ১ হাজার ৮৪০, ভ্রাম্যমাণ ২৭ ও ৭৫ টি অতিরিক্ত টিকাদান কেন্দ্র।
এ ছাড়াও টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য নিয়োজিত থাকবে স্বাস্থ্য সহকারী ২৩৫ জন, পরিবার কল্যাণ সহকারী ২১১ জন, স্বেচ্ছাসেবক ৫ হাজার ৪০৭ জন। পুরো কর্মসূচি তত্ত্বাবধানের জন্য ২১৯ জন তত্ত্বাবধায়ক নিয়োজিত থাকবে।
সভায় জানানো হয়, ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুকে খাওয়ানো হবে ‘নীল রঙের’ এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুকে খাওয়ানো হবে ‘লাল রঙের’ ভিটামিন এ ক্যাপসুল। তবে ৪ মাসের মধ্যে যেসব শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে, তাদেরকে ১৪ জুলাই’র ক্যাম্পেইনে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। আর যেসব শিশু মারাত্মক অসুস্থ তাদেরকেও ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।
টিকাদানের গুরুত্ব বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে তিনি সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন সিভিল সার্জন।
তিনি বলেন, ভিটামিনের অভাবে নানা রোগ সৃষ্টি হয়। ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর মাধ্যমে আমরা অন্ধত্ব দূর করব। মৃত্যুর হার কমিয়ে আনব।
ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন নিয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করণ সভায় পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বিস্তারিত ব্রিফিং দেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল কর্মকর্তা (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. রঞ্জন বড়ুয়া রাজন।
জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সিরাজুল ইসলাম সবুজের উপস্থাপনায় সভায় বক্তৃতা করেন ইউনিসেফের নিউট্রিশন সেক্টরের টিম লিডার সায়রা খান, নিউট্রিশন স্পেশালিস্ট আনজুমান তাহমিনা ফেরদৌস ও নিউট্রিশন অফিসার জিয়াউল হক প্রমুখ।
বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা অবহিতকরণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।