হেলাল উদ্দিন সাগরঃ

সাগরে নিম্নচাপের কারণে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত বলবৎ থাকায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে নৌযান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এ রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। ফলে টেকনাফে আটকে পড়া লোকজন চরম অর্থ সংকটে পড়েছে। সাগরে নিমঞ্চাপের কারণে নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালী ঘাটে টেকনাফে আটকে পড়া সেন্টমার্টিন দ্বীপের লোকজনকে ভিড় করতে দেখা যায়। ফিরে যেতে না পেরে নিরুপায় হয়ে অনেকে বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে অবস্থান করছেন। টেকনাফে অবস্থানরত অনেকের অর্থ সংকটও দেখা দিয়েছে বলে জানা যায়।

টেকনাফে আটকে পড়া সেন্টমার্টিন দ্বীপের মোঃ ফহাদ নামের এক যুবক বলেন, আমাদের প্রায় সব নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামাল টেকনাফ থেকে আমদানি করতে হয়। তাই প্রতিনিয়ত আমাদের টেকনাফ আসতে হয়। একদিনের জন্য এসে চার দিন অবস্থান করতে হচ্ছে। এদিকে হাতে থাকা টাকাপয়সাও শেষ হয়ে গেছে বলে জানান ফহাদ। ফহাদের মত এরকম আরও অনেকেই একই কথা বলে দুঃখ প্রকাশ করেন। সেন্টমার্টিন হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি মুজিবুর রহমান জানান, ‘সাগরে নিম্নচাপের কারণে নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীর চরম সংকটে পড়েছে এখানকার সাধারণ মানুষ’।

সেন্টমার্টিন দ্বীপের ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি রশিদ আহমদ মুঠোফোনে জানান, সাগর উত্তাল থাকায় নৌ-যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে কোনো ধরনের নৌ-যান চলাচল করেনি।

সেন্টমার্টিন দ্বীপের ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমেদ জানান, ‘নৌ চলাচল বন্ধ থাকায় দ্বীপে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের সংকট দেখা দিতে পারে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে’।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল হাসান দেশের বাইরে থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহমদ মুঠোফোনে জানান, ‘নিম্নচাপে সাগর উত্তাল থাকায় এ রুটে নৌ-যান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। সাগর শান্ত হলে চলাচলের অনুমতি প্রদান করা হবে’।

এছাড়া দ্বীপে কোনো সংকট সৃষ্টি হলে তা মোকাবিলার জন্য প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।