প্রেস বিজ্ঞপ্তি :

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মহেশখালী উপজেলা আহ্বায়ক কর্তৃক বিভিন্ন ইউনিয়নে কমিটি গঠনে অনিয়ম ও স্বেচ্চারিতার অভিযোগ করেছে তৃণমূল নেতাকর্মীরা। সম্প্রতি বিভিন্ন ইউনিয়নে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে পত্রিকায় সংবাদ প্রচার করেছে উপজেলা বিএনপি আহ্বায়ক। অথচ যে কমিটি গঠন করা হয়েছে মর্মে সংবাদ প্রচার করা হয়েছে, সে কমিটিগুলো ইতিপূর্বে সম্মেলনের মাধ্যমে গঠন করা হয়ে। নেতাকর্মীদের অভিযোগ আহ্বায়ক কমিটির কোনো সভা না ডেকে অধিকাংশ যুগ্ম-আহ্বায়ককে না জানিয়ে রাতারাতিই কাগজে-কলমে কমিটি বানিয়ে সেটা পত্রিকায় প্রকাশ করা হচ্ছে যা সম্পূর্ণ গঠণতন্ত্র ও দলের বিধি পরিপন্থী।

এ বিষয়ে হোয়ানক ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম. আব্দুর রহিম বলেন, আমি ছোটবেলা থেকেই এই দলের সাথে সম্পৃক্ত এবং দলকে নিজের সন্তানের মতো ভালোবাসি। তাই দলের এই কঠিন দু:সময়ে দলের দায়িত্ব নিয়ে দলকে সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করেছি। আমি দীর্ঘদিন হোয়ানক ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি, উপজেলা যুবদলের সহ-সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। দায়িত্বপালনকালে দলের সকল কর্মসূচী ও সাংগঠনিক কর্মকান্ডে সবসময় অংশগ্রহণ করে দলের জন্য অনেক ত্যাগ, শ্রম ও অর্থ ব্যয় করেছি।

তিনি আরো বলেন, বিগত ১৮ আগষ্ট ২০১৭ ইং তারিখে হোয়ানক ইউনিয়ন বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্টিত হয়। উক্ত সম্মেলনে মহেশখালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি এড. নুরুল আলম, সাধারণ সম্পাদক আবু বকর ছিদ্দক, সাংগঠনিক সম্পাদক আকতার কামাল চৌধুরী সহ উপজেলা বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত সকলেই জানেন যে, নানা প্রতিকুল পরিবেশ এবং পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে সেদিন হোয়ানক বিএনপির সম্মেলন সফলভাবে সম্পন্ন করেছিলাম। সেদিনই উপজেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ একটি কমিটিও ঘোষণা করেছিলেন যা ১৯ আগস্ট ২০১৭ ইং তারিখে পত্রিকায় সম্মেলনের ছবিসহ প্রকাশিত হয়। সে কমিটিতে আব্দুল করিম মেম্বারকে সভাপতি, আমি আব্দুর রহিমকে সাধারণ সম্পাদক এবং শাহ্্ নেওয়াজ সালাউদ্দিন টিপুকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়। পরবর্তীতে আমরা এক মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে উপজেলা বিএনপি বরাবরে জমা দেই এবং আমরা হোয়ানক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি-সম্পাদক হিসেবে সাংগঠনিক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছি। ইতিমধ্যে বিগত ২৩ জানুয়ারী উপজেলা বিএনপির কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে আবু বকর ছিদ্দিককে আহ্বায়ক করে ৮৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে। গত ২১ এপ্রিল উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির পরিচিতি সভা জেলা বিএনপির সভাপতি-সম্পাদকের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়। সে পরিচিতি সভায়ও আমি হোয়ানক ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অংশগ্রহণ করি। বিগত ১৬ আগস্ট ভারতের শিলং এ অবস্থানরত আমাদের প্রিয় নেতা বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব সালাউদ্দিন আহমদের সাথে সাক্ষাত করি।

কিন্তু গত ১১ জুলাই হঠাৎ পত্রিকায় হোয়ানক ইউনিয়ন বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন শিরোনামে প্রচারিত খবরে দেখতে পাই- সাধারণ সম্পাদক পদে আমার স্থানে সাংগঠনিক সম্পাদক শাহনেওয়াজ সালাউদ্দিন টিপু’র নাম বসানো হয়। যা অতীব দু:খজনকই নয় সম্পূর্ণ অগঠনতান্ত্রিক ও অসাংগঠনিক। কেন, কী কারণে আমাকে সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বাদ দেওয়া হলো আমি তা এখনো জানতে পারিনি। কেনই বা কাউকে না জানিয়ে কমিটি বদল হলো সে ব্যাপারে কেউ স্পষ্ট জানে না। এ বিষয়ে অবগত নন বলে ইতিমধ্যেই ৩জন যুগ্ম-আহ্বায়ক পত্রিকায় বিবৃতি প্রদান করেছেন। শুধু হোয়ানক নয়, অন্যান্য ইউনিয়নেও সম্মেলনের মাধ্যমে গঠিত কমিটির বিভিন্ন পদে রদবদল করে নিজেদের পদলেহনকারী কিছু অযোগ্য ব্যক্তিকে পদে বসানোর হীন প্রয়াস চালাচ্ছে। যা মহেশখালী উপজেলা বিএনপিকে সাংগঠনিকভাবে দুর্বল ও দলের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টির অপ-প্রয়াস বলে আমি মনে করি।

বিষয়ে সম্মনিত জেলা বিএনপির সভাপতি-সম্পাদক সহ জেলা ও মহেশখালী উপজেলার সকল ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই- কোনো কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ না হওয়ার আগে এভাবে কারো ইচ্ছা-অনিচ্ছার উপর ভর করে যদি সকাল-বিকাল পদ-পদবী চলে যায় আর আসে তাহলে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা বা ন্যুনতম গঠনতান্ত্রিক কর্ম বলে আর কিছুই থাকে না। যা কারো জন্যই মঙ্গলজনক নয়। এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে এ দলের দায়িত্ব গ্রহণের লোক পাওয়া দুষ্কর হবে। যা আমরা যারা দলকে ভালোবাসি তাদের কারোই কাম্য নয়। তাই সময় থাকতে শহীদ জিয়ার প্রতিষ্ঠিত এ দলকে মহেশখালীতে একটি পরিবারের কাছে জিম্মি না রেখে সকল সাধারণ মানুষ যাতে এ দলের রাজনীতি করার সুযোগ পায় এবং কক্সবাজারের শ্রেষ্ঠ সন্তান বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সম্মানিত সদস্য আলহাজ্ব সালাউদ্দিন আহমদের পাহাড়সম জনপ্রিয়তা ও রাজনৈতিক ইমেজ ক্ষুন্ন করার এই ষড়যন্ত্র বন্ধ করুন।