সৈয়দ তানবীর মাহমুদ খোন্দকার

১.পরিচয় গোপন করা অপরাধ

পরিচয় গোপন করা অপরাধ। পরিচয় গোপন করার অপরাধে তৎকালীন বিচার ব্যবস্থায় খলিফা হারুন অর রশিদের ৩ দিন জেল হয়। খলিফা হারুন অর রশিদ ঐ বিচারককে সততার জন্য পুরস্কৃত করেন। বিষয়টি এমন-
একদিন ছদ্মবেশে কাজীর বিচার কার্য দেখতে গেলেন। কিন্তু যাওয়ার পথে পুলিশের সাথে দস্তাদস্তি হয়। কিন্তু পুলিশ জানতনা তিনিই খলিফা হারুণ অর রশিদ। যাহোক গ্রেফতার করে কাজীর সামনে হাজির করলেন। কাজীর আদেশে ৩দিন জেল ও খেটেছেন। বিচারক খলিফাকে চিনতে পেরেছিলেন। জেল হতে মুক্তি পেয়ে রাজদরবার এ ডেকে আনলেন। তিনি কাজীকে জিজ্ঞেস করলেন- ঐ দিন যে ব্যক্তিকে শাস্তি দিয়েছিলেন আপনি কি তাকে চিনতেন? সাহসের সাথে বললো – জাঁহাপনা চিনি। তিনি হলেন খলিফা হারুন অর রশিদ। পরিশেষে কাজীকে জিজ্ঞেস করলো ঐ ব্যক্তির কি অপরাধ ছিলো। উত্তরে কাজী বললো-
* প্রথমত পরিচয় গোপন করা হলো।
* পুলিশ কর্মকর্তার সাথে ধস্তাধস্তি হয়।
একথা শুনে খলিফা হারুণ অর রশিদ স্বর্ণ মুদ্রা সহ অনেক উপঢৌকন দেন। সেই সাথে তার ( কাজীর) সততার ও প্রশংসা করেন।

২.শিশু ও রাজনীতি জানে

এক মনীষী বলেন- সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই। আমি ও তাই বিশ্বাস করি।
মানবিকতা মানে কোন সহকর্মীর সাথে পরামর্শ না করে গোপনে কাউকে অধিক সুবিধা দেয়া! দেয়ার পরে কাউকে কিছুই না জানানো কি সামাজিকতা? হায়রে দুনিয়া! এই জগতে কি কেউ বোকা আছে! যে নিজেকে চালাক মনে করে সে কি আসলে চালাক।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক তার ছাত্রদের সাথে রসিকতা করে বলেন- ব্যাটা রাজনীতি কি শুধু রাজনীতিবিদরাই বুঝে! শিশু ও রাজনীতি জানে।  শিশু কান্না করলে মা দৌড়ে আসে, এটাই তাঁর রাজনীতি।

সৈয়দ তানবীর মাহমুদ খোন্দকার।,সহকারি শিক্ষক মধ্য রাজাপালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। উখিয়া, কক্সবাজার।