সাইফুল ইসলাম বাবুল :

আমি তোমারে ভয় পাই। তাই বয়সে ছোট হলেও সমীহ করি, কিছু বলি না। কারন তুমি এখন পাল গোদা। তোমার অনেক ক্ষমতা তারপর তুমি জ্ঞানী, না হলে হিটলার, মুসলিনী, চেঙ্গিস খান, হালাকু খান, মুকিম গাজী, নটবর লাল, এরশাদ সিকদার, বীবাপ্পান, দস্যু বনহুর এর মত এত পলিসি কিভাবে জানো?

তুমি আবার ভাল ও সৎ মানুষের আচার-আচরণ জানো। তাই তোমার জনপ্রিয়তাও আছে। কখনও বিল্ডিং, ফ্ল্যাট বাড়ি, গাড়ি, জমির মালিক হওয়া যায় না। কিন্তু তোমার সব আছে। প্রশ্ন হল কিভাবে? যাদুবিদ্যা! গুপ্তধন! ট্রেজারি! কিছুই তো ছিল না। তবে তোমার এত সম্পদ কিভাবে হল? কোন এক পথে হয়েছে আর কি?

তবে তোমার সুনাম, যস, খ্যাতি, বিত্ত-বৈভব, এর পিছনে হাজার মানুষের “নিশ্বাস” আছে, সেটা কি খেয়াল করেছো? সমাজকে তো ফার্নিচারের দোকান বানাইছো। তুমি একবার ছাচবে, তারপর তোমার ছোট ভাইয়েরা ছাচবে মাঝে মাঝে নাকি পিতা মহোদয় ও ছাচেন। তাহলে আর ফিনিশিংয়ের দরকার নাই সমাজ ফক ফকা।

শুনেছি বিশাল ট্রাইবুনাল সিন্ডিকেট করে করে সাঙ্গোপাঙ্গ দিয়া ও ছাচো। তোমার বিশাল ক্ষেত্র, গনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা, গডফাদার, ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত মাসোহারা দেনেওয়ালা। তাই জেলা থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত তোমার কদর।মনে রাখবে যখন যমদূত চলে আসে তখন কেন্দ্র ও জেলা থাকেনা। থাকি ছাচা ছোলা মানুষগুলো। আমাদের দরদী কান্নায় তোমার মুক্তি মিলছিল।

মাননীয় আমরা প্রতিদান চাইনা একটু স্বস্তি চাই। আমরা কিছুই দিতে পারব না তবে দোয়া তো করতে পারি? আমার জমি আমি বিক্রি করলাম আবার আমাকে টর্চার সেলে নিলে। জমি বিক্রির টাকা ও নিয়ে নিলে। আর ধরে নিয়ে চকরিয়ায় বসিয়ে রেজিস্ট্রি কমিশন নিয়ে আবার ৪০ শতক জমি রেজিস্ট্রি নিলে। এখনো হুমকি-ধমকিতে লাগলে।

মাননীয় বিষ দিতে পারবে? যেন ৪০ শতকের বিনিময়ে সাড়ে তিন হাত পাই। তোমার আগে মরতে না পারলে হয়তো কবরের জায়গাও থাকবেনা। তোমার এখন পান্তা ভাত ও পোড়া মরিচ রুচিতে বাধে। আবুল বিড়ি খাওনা বেনসন চলে। বাংলা কমেটে বসোনা ইংলিশ হয়ে গেছে। কারণ তোমার বদৌলতে তোমার পরিবার এখন টষ্টা।

পড়ালেখা না করলেও পরিবারের অন্য সদস্যরা পি এইচ ডি। তাই তারা গ্যাং বাধে। চড়া দামে চাদা নেয়া। বাবার ব্যবসা করে আর মাঝেমধ্যে ডাক্তারদের হুমকি দেয়। থানায় প্রতিনিধিত্ব করে দলের বিপক্ষে এবং খারাপ লোকের পক্ষে। তাদের ভয়ে কেউ থানায় আসতে ভয় পায়।

তোমারা এখন সাক্ষাৎ দোযগের দারোগা। বর্গী জমিদাররা তো তোমাদের চেয়ে ভালো ছিল। তোমরা রাজনীতি করো ভোটে দাঁড়াবে একজনের অবস্থা দেখেছো? তুমি কি সেরকম হবে? তোমার অনেক ভবিষ্যৎ পড়ে রয়েছে। তাই ভয়ে ভয়ে বলি একটু ভালো হয়ে যাও। দাবানল সবাইকে পুড়িয়ে মারে।

আমার ভয় সাথে আমিও মরবো কিনা? আজ একটু নীরবতা ভাঙতে চাই। তুমি হয়তো দেখছো না গোপনে তোমার আমলনামা তৈরি হচ্ছে। তার শেষ লাইন হবে কয়লা ধুলেও ময়লা যায় না। যাক মাটিচাপা দাও। আমাদের বড় ভুল ছিল ছিঁচকে চোরের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতে গিয়ে সিং চোরের পাল্লায় পড়লাম। সবার হৃদয়ে তোমরা ছোলাগাজী।

আমি হাতজোড় করে বলছি, আমার জমির বিক্রির টাকা গুলো এবং শেষ সম্বল ৪০ শতক জায়গা ফেরত দাও। আমার নীরব কান্নার ফলশ্রুতি তুমি হয়তো শুকনা রাস্তায় আছাড় খেয়ে মরবে। না হয় বাথরুমে মরতে পারো। একটু খেয়াল করো যদি ক্যান্সার হয় কোটি টাকা যাবে, অক্কা ও পাবে।