এইচ এম রিয়াজ :

পেকুয়া উপজেলার ৯৫ বছরের গুলচেহারা নামের এই মহিলাটি এখন ত্রিশ হাজারের বেশি সন্তানের ধাত্রী মাতা।
তিনি ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে ধাত্রী মাতার এ কাজ করে আসছেন। যে কারো ডাকে যেকোনো সময় সাড়ে দিয়ে চলে যায় মানুষের ঘরে ঘরে ধাত্রী হিসেবে। দিন-রাত, ঝড়-বৃষ্টি কিছুই তাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারেনা কখনোই। বিনিময়ে কারো কাছ থেকে কোন ধরণের টাকা-পয়সা নেননি। দীর্ঘ কর্মজীবনে সিক্ত হয়েছেন অগনিত মানুষের ভালবাসায়।

বলছিলাম পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের ফাঁশিয়াখালী সবজীবন পাড়া এলাকার মৃতু আলী আহমদ (প্রকাশ বাইট্টা খলিফা) এর স্ত্রী গুলচেহারা বেগম (৯৫) এর কথা।

এই মহিয়সী নারীর বর্তমানে তিন ছেলে আর তিন মেয়ে মিলে রয়েছে নাতি-নাতনির আলাদা আলাদা সংসার।
তিনি নিজ এলাকা এবং এলাকার বাইরেসহ তার ভাষ্যমতে এপর্যন্ত সফল ও দক্ষতার সহিত ত্রিশ হাজারেরও বেশি সন্তান প্রসবের কাজ করেছেন। মাঝেমধ্যে অনেকের অনুরোধে ছুটে যান চট্রগ্রাম শহরেও।

তার মতে সদ্যজাত বাচ্চার ধাত্রী মাতা হলে আল্লাহকে পাওয়া যায়। আল্লাহকে পাওয়ার আশায় তিনি এ পথে নামেন। এ কাজটি একসময়ে তার কাছে আনন্দ, ভালবাসা ও মনের খোরাকে পরিণত হয়। তিনি মনের খোরাক মেটাতে অদ্যাবধি এ-কাজ করে চলেছেন।

লেখাপড়া না জানার কারণে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরে চাকরি হয়নি মহিয়সী এ ধাত্রী মাতার।

তার (পুত্র ঘরের) নাতি সিদ্দিকুর রহমানের সাথে কথা বলে জানাযায়, তার দাদির (গুলচেহারা) ৯৫ বছর বয়স হলেও এখনো তিনি এ কাজ কর যাচ্ছেন মানবতার টানে। মৃত্যু অবদি তার এ কাজ করে যাওয়ার ইচ্ছে আছে বলেও জানান নাতি সিদ্দিকুর রহমান।