শাহীন মাহমুদ রাসেলঃ
মৃত্যু, পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর এবং রহস্যঘন শব্দ। মৃত্যুর অনুভূতি কেমন, তা হয়ত জীবিত মানুষের পক্ষে আন্দাজ করা সম্ভব নয়। কিন্তু মৃত্যুর ভয়াবহতা সম্পর্কে সহজেই অনুমান করা যায়। একটু কল্পনা করেন তো, প্রতিদিনকার মত পরিবারের সবার সাথে রাতের খাবার শেষ করে শুয়ে পড়লেন। আপনজনের সাথে গুটুর-গুটুর গল্প করতে করতে একসময় ঘুমিয়ে গেলেন। গভীর ঘুমের কোনো এক পর্যায়ে কয়েক টন কাঁদা মাটি, পাথরের কণা ও গাছপালা এসে পরলো আপনার বুকের উপর। কাঁদা মাটির নিচে ধীরে ধীরে তলিয়ে যাচ্ছেন আপনি। ঘুম ভাঙ্গার পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত আপনি মাত্র কয়েক সেকেন্ড সময় পাবেন। এবং ওই সময়ে বেঁচে থাকার বৃথা চেষ্টা করা ছাড়া কিছুই করার থাকবে না আপনার হাতে! কি? বিভৎস মনে হচ্ছে? খুব অসহায় ও করুণ মনে হচ্ছে? অথচ আজকেই (২৭ জুলাই বিকালে) কিছুক্ষণ আগে এরকম একটা ঘটনাই ঘটে গেলো কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ৪নং ওয়ার্ডে পাহাড় ধসে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দেশের নামে নিজের জীবন উৎসর্গ করা ছাড়া আর কিছুই থাকেনা।
পাহাড় ধসের কয়েক মিনিট আগেও যারা জানতেন না, কিরকম এক ভয়াবহ দুঃসহ অভিজ্ঞতার শিকার হতে যাচ্ছে তারা। এই ঘটনা আজ নতুন নয়। প্রতিবছরই এরকম ভারী বর্ষণের মৌসুমে কমবেশি পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটছে। কিন্তু কেনো ঘটছে? পাহাড় ধ্বসের পেছনে দুই ধরনের কারণ! পাহাড় কাটা ও গাছ কাটা।
পাহাড় ধস, কেন?
পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।