শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, ঈদগাঁও:
চৌফলদন্ডী-খুরুস্কুল,কক্সবাজার সড়কটি জন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এ সড়কটি ঈদগাঁও- চৌফলদন্ডী হয়ে সোজা উত্তর দিকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ। সড়কের হায়দার পাড়া সংলগ্ন স্থানে একটি কালভার্ট রয়েছে। বর্তমানে গাড়ি ও মানুষ চলাচলের কারণে কালভার্টের পাটাতন অকজো ও পাশে গাইডওয়াল না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।এমনকি কয়েকমাস পূর্বে একটি গর্তের সৃৃষ্টি হয়েছিল। যদিওবা গর্তটি ভরাট করা হয়েছিল আরো অকেজো পাটাতন দিয়ে। গর্ত এবং নষ্ট পাটাতনের কারনে যেকোন মুর্হুতে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে ভুক্তভোগীরা আশংকা প্রকাশ করেন। এতে করে জনভোগান্তি চরম আকার ধারণ করতে পারে।
জানা যায়, রাখাইন পাড়া,পশ্চিম পাড়া,মধ্যমপাড়া,মাইজপাড়া,খুরুস্কুল, কক্সবাজারের অফিস আদালত,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়া ও বিপুল সংখ্যক জনবসতির লোকজনের চলাচলের সহজ যাতায়াত পথ চৌফলদন্ডী সড়ক।
উল্লেখিত এলাকায় কয়েকটি মাদ্রাসা, প্রাথমিক বিদ্যালয়,সনাতনী এবং রাখাইন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও শ্মশ্মান রয়েছে। তাছাড়া লোকালয়ের বিভিন্ন শিক্ষার্থীরা এ সড়ক দিয়ে সাগরমনি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়,চৌফলদন্ডী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে। সড়কটি উন্নত হওয়ায় জেলা সদর ও এলাকায় জনবসতি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। জনবসতির কারণে ঈদগাহ্ থেকে চৌফলদন্ডী টু কক্সবাজার পর্যন্ত সিএনজি, টমটম, মাহিদ্রা সার্ভিস চালু রয়েছে। তাছাড়া উক্ত সড়ক দিয়ে কক্সবাজার শহর কাছে হওয়ায় সরকারী কর্মকর্তারা গাড়ি নিয়ে এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে। ব্যক্তি মালিকানাধীন লবন,শুটকি,নাপ্পি দ্রব্য পরিবহন এবং এলাকার ফলফলাদি পরিবহনের জন্য প্রায়ই গাড়ি চলাচল করে থাকে। উল্লেখিত এলাকা সমূহে পাকা স্থাপনা নির্মাণ ও খুরুস্কুলে আশ্রয়ণ প্রকল্প,কক্সবাজার বিমান বন্দর উন্নত করনের জন্য নিত্যদিন গাড়িতে করে এ সড়ক দিয়ে নির্মাণ সামগ্রী পরিবহন করা হয়। ছোট্ট একটি কালভার্ট ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার কারণে এ সড়ক দিয়ে গাড়ি চলাচল করা দূরহ হয়ে পড়েছে। রাতের অন্ধকারে এ সড়ক দিয়ে লোকজন চলাচল করার সময় কালভার্টটি মৃত্যু ফাঁদে পরিনত হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলতে হয়। ভুক্তভোগী চৌফলদন্ডীর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাসান মুরাদ আনাছ অবিলম্ভে চৌফলদন্ডী সড়কের হায়দার পাড়া সংলগ্ন ঝুুঁকিপূর্ণ কালভার্টটি পুণ: নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্টের কাছে জোর দাবী জানান।