বিশেষ প্রতিনিধি: 
এই সময়ে প্রতি বছর পানিতে ডুবে থাকত কক্সবাজার টেকনাফ সড়কের রামু চাইল্লাতলি এলাকা। শিক্ষা দীক্ষায় চরম অবহেলিত ছিল এই এলাকা। কিন্তু গত কয়বছর ধরে এখানে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে একে আযাদ উচ্চবিদ্যালয়। এটি এখন রামুর অবহেলিত এলাকায় যেন একটি আলোর মশাল।
আলহাজ্ব আবুল কালাম আযাদ যার বয়স এখনো ৩০ এর কোটায়। সৌদিয়া প্রবাসের আরাম আয়েশ ছেড়ে তাঁর নিজের এলাকা রামু উপজেলার মিঠাছড়ি ইউনিয়ের অবহেলিত চাইল্লাতলীতে নিজের কষ্টার্জিত অর্থ ব্যয়ে প্রতিষ্ঠা করেন একে আযাদ উচ্চবিদ্যালয়।
এখন থেকে আরো ৮ বছর আগে ২০১১ সালে আবুল কালাম আযাদ প্রতিষ্ঠা করেন একে আযাদ উচ্চবিদ্যালয়। যে বয়সে একজন যুবক খেলাধুলা করে সময় কাটানোর কথা। কিন্তু আবুল কালাম আযাদ একটি উচ্চবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে যুক্ত হলেন বাংলাদেশের শিক্ষা আন্দোলনে। শত শত শিক্ষার্থীরা এখান থেকে শিক্ষা অর্জন করে অবহেলিত এই সমাজে আলো ছড়াচ্ছে। আগামীতে একটি উন্নত শিক্ষিত সমাজ গড়ায় য়ুক্ত হবে তারা।
 দীর্ঘ ৮ বছর পরে সম্প্রতি বিদ্যালয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে স্বীকৃতি লাভ করে। এতে আনন্দিত শিক্ষষক- শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
আজ (১৩.০৮.২০১৮) একে আযাদ উচ্চবিদ্যালয়ে শিক্ষষক নিয়োগের পরীক্ষা চলছে। শিক্ষক নিয়োগে প্রধান হিসেবে উপস্থিত আছেন কক্সবাজার সরকারী কলেজের প্রিন্সিপ্যাল জাতীয় শিক্ষা পদক প্রাপ্ত প্রফেসর একে এম ফজলুল করিম চৌধুরী। আরো আছেন, কক্সসাজার সরকারী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান লুৎফুন্নিসা  ও জেলা শিক্ষা অফিসার ছালেহ উদ্দিন আহমদ।
একে আযাদ তাঁর অনভূতিতে বলেন, এটি ঠিক যে, এই প্রতিষ্ঠান করতে অনেক কষ্ট হয়েছে। এখন স্বীকৃতি পেয়ে ভাল লাগছে। তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের সবাইকে এবং এলাকাবাসীকে ধন্যবাদ জানান। বিদ্যালয়টি এমপিও ভূক্তির আবেদন জানান।
প্রিন্সিপ্যাল একে এম ফজলুল করিম চৌধুরী বলেন, য়ে বয়সে আযাদ খেলাধুলা করার কথা সে বয়সে হাইস্কুল প্রতিষ্ঠা করে অনেক বড় কাজ করেছেন। কয়জনের পক্ষে এটা সম্ভব!