ওয়াহেদ আমির:

চকরিয়া-কক্সবাজার প্রধান সড়কে বাস চালক ও হেল্পারদের হাতে হয়রানির শিকার হচ্ছে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল থাকায় প্রতিদিন শত শত ছাত্র-ছাত্রী চকরিয়া উপজেলা থেকে কক্সবাজারস্থ বিভিন্ন কলেজে পড়তে আসে। অনূরূপভাবে অনেকেই কক্সবাজার থেকেও চকরিয়ায় যাতায়াত করে। প্রতিদিন সকাল বেলায় বাসের অপেক্ষায় তাদের ঘন্টার পর ঘন্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। প্রতি মুহুর্তে প্রধান সড়ক দিয়ে বাস চলাচল করলেও সঠিক সময়ে বাস পায়না শিক্ষার্থীরা। রীতিমত যুদ্ধ করে বাসে উঠতে হয় তাদের।
অভিযোগ রয়েছে, দূর থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলেই গাড়ীর ড্রাইভার দ্রুত গতিতে গাড়ি চালিয়ে চলে যায়। বাসে ‘সীট খালি নাই’ অযুহাতে গাড়ি থামায় না।
চকরিয়ার অনেক শিক্ষার্থী এই প্রতিবেদককে জানিয়েছে, সকাল থেকেই তাদের জীবন যুদ্ধ শুরু হয়। এ যুদ্ধের লক্ষ্য রাষ্ট্র বিজয় কিংবা শত্রুদের ঘায়েল করার উদ্দেশ্যে নয়। সঠিক সময়ে কলেজে পৌঁছতে সব প্রচেষ্টা। কিন্তু। পথে ঘটে বিপত্তি। বাসের সংকটে ঠিক সময়ে ক্লাস ধরতে পারেনা।
বাসে উঠতে গিয়ে হেল্পারদের সাথে ঝগড়াও করতে হয়। যাত্রীদের সামনে আপত্তিজনক আচরণ করে।
কক্সবাজার সরকারী কলেজের এক ছাত্রী বলেন, বাস হেল্পারদের কাছে প্রায় সময় বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়। শুধু পরিবহণের জন্য আমরা নিয়মিত ক্লাস করতে পারি না। সঠিক সময়ে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পরেও বাস হেল্পাররা গাড়ীতে না তোলায় অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ ক্লাস বাদ পড়ে যায়।
এই বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, শিক্ষার্থীরা হাফ ভাড়া প্রদান করায় বাস চালক ও হেল্পাররা শিক্ষার্থীদের নিতে চায়না।নিরুপায় হয়ে অনেকে বাসে তুললেও তাদের সাথে আপত্তিকর আচরন করে। মাননীয় মন্ত্রীর নির্দেশ ছিল, ‘সরকারি পরিবহন বিআরটিসিসহ অন্য বাসে শিক্ষার্থীরা হাফ ভাড়া দেবে। তাদের কাছ থেকে বাসগুলো হাফ ভাড়া না নিলে সঙ্গে সঙ্গে অভিযোগ করবেন। ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ মন্ত্রী নির্দেশ থাকার পরেও স্বেচ্ছায় কোনো বাসে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হাফ ভাড়া নেয়া হচ্ছে না। উল্টো ভাড়া নিয়ে বাসের হেল্পারদের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়াতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। কখনও কখনও তা পৌঁছে যাচ্ছে হাতাহাতিতে। এই বিষয়ে শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।