সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ ও ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন কক্সবাজার জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী সোহেল আহমেদ বাহাদুর।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে শুক্রবার (২৪ আগষ্ট) টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শাপলাপুর বাজার, শিলখালী, হলবনিয়া, জাহাজপুরা, বড়ডেইল, কচুবনিয়া, সাবরাং, টেকনাফ সদরসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় স্থানীয়দের সাথে কুশল বিনিময় করেন তিনি। এ সময় এলাকাবাসীর মাঝে ব্যাপক সাড়া লক্ষ্য করা গেছে।
যুবনেতা সোহেল আহমেদ বাহাদুরকে এলাকাবাসী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হবার আগ্রহ দেখালে জবাবে বলেন, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রীধারী। ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে যুব রাজনীতিতে আমি দীর্ঘ সময় ধরে লিপ্ত আছি। আমার পিতা এডভোকেট নুর আহমদকে আপনারা চেনেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ১৯৭০ এর নির্বাচনে এই এলাকা থেকে আপনাদের ভোটে আমার পিতা এমএনএ নির্বাচিত হয়েছিলেন। বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমার শরীরেও তার রক্ত ও আদর্শ বহমান। আপনাদের দোয়া ও বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনা যদি আমাকে মনোনয়ন দেন, তাহলে আমি উখিয়া-টেকনাফকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করব। সব ধরণের অনিয়ম, দুর্নীতি, মাদকের দুর্নাম ঘুচিয়ে এই এলাকাকে দেশের অনন্য একটি সমৃদ্ধ জনপদে পরিণত করব। আপনাদের পাশে পেলে তা আমি করতে পারব, ইনশাল্লাহ।
গণসংযোগকালে তিনি বলেছেন, সারাদেশের জন্য অর্থনৈতিকভাবে টেকনাফ গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। প্রতি বছর সরকার আমদানি-রপ্তানি থেকে শুধু স্থলবন্দর থেকে কয়েকশত কোটি টাকা আয় করে। এছাড়া সরকারের ‘অর্থনৈতিক জোন’ টেকনাফে চলমান। সঠিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত করা গেলে প্রকৃতির অনন্য সুন্দর এই এলাকাকে আরো বেশী উন্নত ও সমৃদ্ধ করা সম্ভব হবে।
শুক্রবার সকালে যুবনেতা সোহেল আহমেদ বাহাদুর নিজ গ্রাম কচুবনিয়া যান। এ সময় সাধারণ মানুষের মাঝে উৎসবের আমেজ তৈরী হয়। তাকে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করে। আনন্দ-উচ্ছ্বাস তৈরী হয় সবশ্রেনীর মানুষের মাঝে। আমজনতার সাথে ঈদ শুভেচ্ছা ও কুশল বিনিময় মেষে স্থানীয় মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন সম্ভাবনার প্রতীক বাহাদুর। নামাজ শেষে মুরব্বিদের সাথে বসেন। কথা বলেন এলাকার সমস্যা সম্ভাবনা নিয়ে। এলাকাবাসীও জননেতা বাহাদুরকে কাছে পেয়ে তাদের সব কথা তুলে ধরেন।
জুমার নামাজের পরে সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুর হোসেনের বাসায় গিয়ে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। যুবনেতা আবুল কালামের বাসায় গিয়ে পারিবারিক খোঁজ খবর নেন। এরপর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব শফিক মিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন এবং ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এছাড়া সাবরাং ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় তিনি গনসংযোগ করেন। শুভেচ্ছা বিনিময় ও গণসংযোগের সময় এলাকাবাসীর মাঝে ব্যাপক সাড়া দেখা গেছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহবায়ক নুরুল হক, যুগ্ম-আহবায়ক সাইফুল্লাহ কোম্পানী, ২ নং ওয়ার্ড অওায়ামী লীগের সভাপতি জাফরুল ইসলাম, ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. দিদার, বাহারছড়া ইউনিয়ন যুব লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন খোকন, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলম, হুমায়ুন কাদের মেম্বার, এনামুল হক, আবু তাহের, ১ নং ওয়ার্ড যুব লীগের সভাপতি জাহেদ আলম, ২ নং ওয়ার্ড যুব লীগের সভাপতি মো. শরীফ, সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ আলম প্রমুখ।
কচুবনিয়ায় গণসংযোগকালে উপস্থিত ছিলেন- আবদুর রহিম, মো. শফি, বদিউজ্জামান, মনিরুজ্জামান, মো. রফিক, জাফর আলম, মো. হোসেন, মো. ইসলাম, ছৈয়দ হোসেন, আবদুর রহিম, ছলিম উল্লাহ, খোকন, আবদুস সালাম, নুরুস সালাম বলি, আবুল কালাম প্রমুখ।
সাবরাংয়ে গণসংযোগে ছিলেন- চেয়ারম্যান নুর হোসেন, জেলা যুব লীগের সাবেক সহ-সভাপতি আবুল কালাম, টেকনাফ পৌর যুব লীগের সভাপতি আবদুল্লাহ, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির, সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম, যুবলীগ নেতা আবদুল করিম লুলু, কবির আহমদ, উপজেলা ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম মুন্না, কলেজ ছাত্র লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, ইউনিয়ন ছাত্র লীগের সভাপতি মাহমুদুল হক মুন্না, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, হোয়াইক্যং যুবলীগের সভাপতি ফরিদুল আলম জুয়েল, উপজেলা যুবলীগ নেতা আবদুল ফারুক, এডভোকেট মাহমুদুল হক মাহমুদ, পৌর যুবলীগ নেতা ফয়েজ উল্লাহ নুনু, মো. ইয়াহিয়া, ওবাইদুল্লাহ, রফিক, রেজাউল করিম, রিপন, ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মনজুর, ইউনুছ, বশির, কাদের, হোসাইন, ৪ নং ওয়ার্ড মেম্বার শামসুল আলম প্রমুখ।