সাইফুল ইসলাম বাবুল

প্রেম একটি মানবীয় গুণ।সৃষ্টির আদিকাল থেকে মানব চরিত্রে ভর করেছে। স্রষ্টা মানব সৃষ্টির সাথে মনে হয় প্রেমের মিশাল  দিয়েছিলেন। তাই  তো আদি পিতার সঙ্গী হাওয়ার সৃষ্টি। নিরিবিচ্ছিন্ন বিকাশমান মানব সভ্যতা ধর্ম, বর্ণ, অঞ্চল, গোত্র জাতি ভেদে  বিভক্ত হতে থাকলে মানুষ্য জাতির কৃষ্টি ও পরিবর্তন হতে থাকে। তখন থেকেই প্রেমে শ্রেণি বৈষম্য।

এ জাতির মেয়ে ও জাতির সাথে, এ ধর্ম- ও ধর্মের , এ গোত্র ও গোত্রের সাথে বেমানান। তবে চিরন্তন প্রেম দেশ কাল পাত্রের সীমা রেখা অতিক্রম করেছে। আমি কিন্তু প্রেম বলতে নর-নারীর সম্পর্কের রূপায়ন কে বোঝাতে চেয়েছি। আমি বিশারদ নই খোলা চোখে ক্ষুদ্র মগজে যা ধরে তা-ই প্রকাশ করছি। ইতিহাস, কবিতা, উপন্যাসে প্রেম শুনেছি পড়েছি দেখিনি তবে ‘একটা বিষয় জেনেছি প্রেমে কিন্তু নারীরাই জয়ী। যদিও বলা হয় নষ্টের মূল। সে নষ্টামিতেও প্রেম আছে। দদীকে দেখেছি দাদার জন্য অপেক্ষা করতে অথচ বৃদ্ধাবস্থা। মাকে দেখেছি বাবার জন্য দরদ দেখাতে। নিজের স্ত্রী ঝগড়া করলে কিংবা অভিমান করলে মনে হয় অশ্বত্থ পাতায়ও কুলাবে না কিন্তু মানশেষে আমরা তেতুল পাতাতেও স্থান করে নিই।

আবার দেখেছি হাইজ্যাক করে তুলে আনা বউটা তার দজ্জাল স্বামীকে পাগলের মত ভালবাসে। জানা নাই শুনা নাই এরকম সম্পর্কটার বউ কি ঠিকই তার স্বামীকে আজীবনের জন্য গ্রহণ করেছে। সব সময় সুখের আশায় খেলা ঘর তৈরিতে ব্যস্ত।

শ্রমিক শ্রেণীর মেয়েরা সারাদিন গতর খাটিয়ে বাড়ী ফেরার পর রান্না বান্না করে আদরে স্বামীকে খাওয়াতে বসান এবং শিয়রে পাখা দিয়ে বাতাস করেন। কেমন স্বর্গীয় দৃশ্য পাওনা একটুকু স্বামীর সোহাগ। অবস্থাপন্ন রা কিন্তু উল্টো স্ত্রীর মনোরঞ্জনের জন্য সবকিছু উৎসর্গ করতে পারে।

তবে বিবাহ পূর্ব অবস্থায় প্রেম করা সাহসের ব্যাপার। কারণ সমাজ কূল ইত্যাদির বাধা আবার প্রতারিত হবার ভয়। তারপর সম্পর্কের হাট রমরমা। কিন্তু ইদানীং দেখা যাচ্ছে সম্পর্কের সংসার ভঙ্গুর। স্থায়ী হয় না কারণ সম্পর্ক হয়েছিল মিথ্যার প্রলেপে।  হৃদয়ের বন্ধন নয় রূপের টাকার প্রতিপত্তির বন্ধন। তাই বলি প্রেম যদি থাকে পান্তা ভাত খেয়ে সংসার হবে, পুরোনো কাপড়ে সাজানো যাবে কুঁড়েঘরে স্বর্গ। হৃদয়টা হবে মূখ্য।
সবশেষে হাসন রাজার গান
“পিরিত না করিওরে ভাই
মন না জানিয়ারে রে “