ডেস্ক নিউজ:
আনন্দ টিভির পাবনা প্রতিনিধি সুবর্ণা আক্তার নদীকে (৩২) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ইদ্রাল ওষুধ কোম্পানি এবং শিমলা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক আবুল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
জানা গেছে, আবুল হোসেনের ছেলে রাজীবের সঙ্গে নদীর দ্বিতীয় বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু যৌতুকের দাবিতে নদীকে তালাক দেন রাজীব। এ ঘটনায় রাজীব ও আবুল হোসেনসহ ৩ জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন নদী। মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) সেই মামলার শুনানি হয়।
নিহত নদীর বোন চম্পা খাতুন পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, আবুল হোসেনের লোকেরাই নদীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই আবুল হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ।
এদিকে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। নদীর মা বাদী হয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন পাবনা থানার ওসি ওবায়দুল হক।
এর আগে জীবন নামে এক ছেলের সঙ্গে বিয়ে হয় সাংবাদিক সুবর্ণা আক্তার নদীর। পরবর্তীতে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। সেই ঘরে তাদের জন্নাত নামে ৭ বছরের এক মেয়ে রয়েছে। পাবনা শহরের রাধানগরে একটি ভাড়া বাসায় মা ও মেয়েকে নিয়ে থাকতেন নদী।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে পাবনা শহরের রাধানগরে নিজবাসার সামনে সাংবাদিক নদীকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
নদী জেলার আটঘরিয়া উপজেলার একদন্ত গ্রামের মৃত আয়ুব আলীর মেয়ে। তিনি স্থানীয় ‘দৈনিক জাগ্রত বাংলা’র সম্পাদক ও প্রকাশক ছিলেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।