শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, সদর:

কক্সবাজার সদরের ২নং পোকখালী ইউনিয়নে চিংড়ি ঘেরে ডাকাতির চেষ্টা চালিয়েছে একদল ডাকাত।এ সময় এক শ্রমিককের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।প্রতিবাদে ডাকাতদলের বসত বাড়িতে ভাংচুর চালিয়েছে বিক্ষুদ্ধ জনতা।সংগঠিত ঘটনায় কেউ আটক হয়নি।এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনাটি ঘটে ৩১ আগষ্ট রাত আনুমানিক ১ টার দিকে ইউনিয়নের বাঁশখালীয় পাড়া রশিদের ঘোনা নামক চিংড়ি ঘেরে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিলম্বে জানা যায়, ঘটনার সময় স্থানীয় বাঁশখালীয় পাড়া এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের পুত্র ধলাইয়ার নেতৃত্বে ৪/৫ জন চিহ্নিত ডাকাতদলের সদস্য রশিদ মিয়া নামক চিংড়ি ঘেরে জাল পেতে মাছ শিকার করে।খবর পেয়ে ঘেরটির মাঝি ইউনিয়নের কমলা পাড়া এলাকার শামশুল আলম বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করে।এক পর্যায়ে তাকে লক্ষ করে উপর্যপুরী গুলি বর্ষন করে।যদিওবা গুলি তার শরীরে না পড়লেও স্ট্রোক করে মাটিতে লুঠে পড়ে।তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু বরন করে।মৃত্যুর সংবাদটি এলাকায় চাউর হলে বিক্ষুব্ধ জনতা বাঁশখালীয়া পাড়া গিয়ে ডাকাত দলের বাড়িতে ভাংচুর চালায়।পরে শামশুল আলম গুলিতে মারা যায়নি সংবাদ আসলে বিক্ষুব্ধ জনতা ফিরে আসে।একইদিন বিকালে শামশুল আলমকে দাফন করা হয়েছে।তবে তিনি গুলিতে মারা গেছে নাকি স্ট্রোক করে মারা গেছে এ নিয়ে এলাকায় কানাঘুষো চলছে।

স্থানীয় মেম্বার লুৎফুর রহমান জানায়, গুলি বর্ষনের খবরটি স্থানীয়দের মারফত জেনেছি। শামশুল আলম স্ট্রোকে মারা গেছে বলে শুনছি।ঘর বাড়ি ভাংচুরের বিষয়টি আংশিক সত্য বলে দাবী করেন তিনি।

অপরদিকে শামশুল আলমের ভাইপো ইছমাইল জানাযা নামাজে মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে তার চাচা খুনের বিচার একদিন হবে।এবং জড়িতদের রেহাই নেই বললে নতুন করে ভাবিয়ে তুলে স্থানীয়দের। এলাকাবাসীরা জানায় ঘটনার রহস্য উম্মোচনের মাধ্যমে আসল ঘটনা কি হয়েছে জট খুলতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এ ব্যাপারে জানতে চেয়ারম্যান রফিক আহমদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে আধা ঘন্টা পর কল দিচ্ছি বলে লাইন কেটে দেয়।বিস্বস্ত সূত্রে জানা গেছে,রশিদ মিয়ার চিংড়ি ঘেরটি নিয়ে বিবাদমান দুটি গ্রুপের মধ্যে বিরোধ রয়েছে।এ বিরোধের জের ধরে ঘটনাটি ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার বিষয়ে জানতে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মিনহাজ মাহমুদ ভুঁইয়া সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ধরনের কোন তথ্য নেই বলে জানায়।