মো. নুরুল করিম আরমান, লামা:
বান্দরবানের লামা উপজেলায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীবাহী একটি জীপগাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাহাড়ি খাদে পড়ার ঘটনায় কায়সার জাহিদ আহমেদ (৩৩) নামের এক ক্রীড়া শিক্ষক অবশেষে মারা গেছেন। এ ঘটনায় আরও ৩ শিক্ষক, গাড়ি চালক ও ১২ শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন। উপজেলার লামা-সুয়ালক সড়কের ডিসি মোড এলাকায় দুর্ঘটনার পর কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে বৃহস্পতিবার রাতে মারা যান তিনি। কায়সার জাহিদ আহমেদ ঢাকা জেলার বাড্ডা থানার বড়বাড়িয়ার ফকিরখালী গ্রামের বাসিন্দা সাহাব উদ্দিন আহমদের ছেলে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার সরই ইউনিয়নস্থ কোয়ান্টাম কসমো স্কুল এন্ড কলেজের ৪ শিক্ষক, গাড়ি চালক ও ১২জন শিক্ষার্থী বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক পৌর এলাকাস্থ টি.টি এন্ড ডি.সি মাঠে আয়োজিত গ্রীস্মকালীণ ফুটবল টুর্ণামেন্টে খেলায় অংশ গ্রহণ শেষে জীপগাড়ি (ঢাকা-ল ৩৫১) যোগে ফিরছিলেন। গাড়িটি সড়কের ডিসি মোড এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে ছেড়ে আসা আরেকটি গাড়িকে সাইড দিতে গিয়ে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে প্রায় দুই শত ফুট পাহাড়ি খাদে পড়ে যায় গাড়িটি। এতে গাড়িতে থাকা শিক্ষক, চালক ও শিক্ষার্থীরা আহত হন। স্থানীয়দের সহযোগিতায় সেনাবাহিনী এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদস্যরা আহতদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এর মধ্যে আশঙ্কাজনক খতিজা, জাহিদুল ইসলাম ও আক্তারকে কক্সবাজার ও জেসমিন, জুঁই ও নাদিয়াকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। পরে কক্সবাজার নেওয়ার পথে রাত ১০টার দিকে কায়সার জাহিদ আহমেদ মারা যান। সড়ক দুর্ঘটনায় ক্রীড়া শিক্ষক কায়সার জাহিদ আহমেদ মারা যাওয়ার সত্যতা লামা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আপ্পেলা রাজু নাহা নিশ্চিত করেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।