শাহীন মাহমুদ রাসেলঃ

ঝিলংজার ৭,৮,৯নং ওয়ার্ডের সদস্য শরীফ উদ্দিন ও আব্দু রশিদ এবং নাছির উদ্দিনসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রতিটি পাড়া মহল্লায় মাদক নির্মূলে অগ্রগামী হচ্ছেন। সচেতন করছেন সাধারন মানুষকে। এরই ধারাবাহিকতায় (৭ই সেপ্টেম্বর) আজ খরুলিয়ার নয়া পাড়ার জামে মসজিদে মাদক নির্মূলে সচেতন ও মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানান। এবং মাদক নির্মূলে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন টিপু সুলতান ও শরীফ উদ্দিন।

৭ই এপ্রিল শতভাগ মাদকমুক্ত করতে ঝিলংজা ইউনিয়নের খরুলিয়ায় স্থানীয় জনসাধারণ ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মসজিদে মতবিনিময় সভা করে ঘোষণা করেন, ‘হয় খরুলিয়াতে মাদক ব্যবসায়ীরা থাকবে, না হয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা থাকবে।’ মাদক নির্মূলে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিপ্ত শপথ নিয়ে কাজ শুরু করে টিপু সুলতান ও শরীফ উদ্দিন। থানা সূত্রে জানা গেছে, গত একমাসে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন স্পটে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে থানা পুলিশ ইয়াবা, গাঁজা ও ফেনসিডিলসহ প্রায় দেড় শতাধিক মাদক ব্যবসায়ী ও সেবীকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য এই পর্যন্ত মাদকের স্বর্গরাজ্য হিসেবে খ্যাত খরুলিয়াতে কোন অভিযান হয়নি।

পরিবেশবান্ধব মাদকমুক্ত খরুলিয়া গড়তে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন তিনি। ঝিলংজা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকেই ঝিলংজার বিভিন্ন মসজিদে, বিভিন্ন ধর্মিয় অনুষ্ঠানে ও প্রতিটি ওয়ার্ডের গ্রামগুলোতে গিয়ে এমনকি প্রতিটি এলাকায় গিয়ে মানুষকে সচেতন করছেন তিনি। সেইসাথে শপথ বাক্য পাঠ করিয়ে ইতিমধ্যেই মাদকের ভয়াবহতা ও কুফল সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করছে। বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালিয়ে ঝিলংজাকে মাদক মুক্ত করতে অগ্রনী ভূমিকা পালন করছেন।

বক্তারা বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে সরকার এবং পরিবার- দুই জায়গা থেকে কঠোর অবস্থান নেওয়া উচিত। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব হবে মাদকের সব ধরনের উৎস খুঁজে বের করে ধ্বংস করা। আর পরিবারের উচিত নিজেদের সন্তান বা পরিজনকে মাদকের কুফল সম্পর্কে জানানো। সামাজিক অবক্ষয় রোধে সৌহার্দ্য বৃদ্ধির তাগিদ দেন বক্তারা। তারা বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার, অনাদর-অবহেলায় বেড়ে ওঠা এবং ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার অভাবেও অনেকে বিপথগামী হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে পরিবারকেই বড় দায়িত্ব পালন করতে হবে।