বিশেষ প্রতিবেদক:
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-২ মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের বিএনপি বিএনপি-জামায়াত জোটের নির্বাচিত বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ বর্তমানে জেলে আছেন। ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে সাজা প্রাপ্ত হয়ে উনি সাজা ভোগ করছেন। ঐ সময় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল আইন ১৯৭৩ -এর আওতায় আদালত অবমাননার অপরাধে উনি দন্ডিত হন।

জানা গেছে, দীর্ঘ পাঁচ বছর পলাতক থাকার পর চলতি বছরের ২৫ই জুলাই উনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। কিন্তু আদালত নামুঞ্জুর করে তাকে সাজা ভোঁগার জন্য জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

আইনজ্ঞদের মতে, সংশোধিত গণ প্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ, ১৯৭২ সালের ধারা ১২ (১)(ণ) [ সেকশন- ১২ (১) (ড়)],যাহা ২০১৩ সালে সংযুক্ত হয়, মোতাবেক তিনি জাতীয় নির্বাচনের অযোগ্য বিবেচিত হবেন। উক্ত আইন মতে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক দ-প্রাপ্ত ব্যক্তি নির্বাচনের অযোগ্য হইবেন। যেহেতু হামিদুর রহমান আজাদ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক দ-প্রাপ্ত হইয়া বর্তমানে সাজা ভোগ করছেন তাই উনি জাতীয় নির্বাচনের জন্য অযোগ্য- এমনটি দাবি করছেন আইন বিশেষজ্ঞরা। সেই ক্ষেত্রে দলীয় অথবা স্বতন্ত্র হিসাবে উনি আর প্রার্থী হতে পারবেন না।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এদিকে হামিদুর রহমান আযাদ সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাভোগ করলেও এলাকার তাঁর পক্ষে নেতাকর্মী-সমর্থকেরা নির্বাচনী কার্যক্রম চালাচ্ছেন। পুলিশের প্রতিরোধের মুখে তারা অনেকটা আড়ালে-আবড়ালে এসব প্রচারণা চালাচ্ছেন। তাদের দাবি, হামিদুর রহমান আযাদ আগামী জাতীয় নির্বাচনে জোটগত বা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে লড়বেন। এর আগে আইনী প্রক্রিয়া শেষ করতে পারবেন বলে নেতাকর্মীদের আশা। তবে আইনের ব্যাখ্যা একটা কঠিন বাধা হলেও সে বিষয়ে হামিদুর রহমান আযাদের সমর্থকেরা তেমন পাত্তা দিচ্ছে না। তাদের প্রত্যাশা সব আইনী মারপ্যাঁচ এড়িয়ে নির্বাচনের মাঠে ফিরে আসবেন হামিদুর রহমান আযাদ।