শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, সদর :
সুন্দর বিলবোর্ড, পোস্টার ব্যানার দেখে নয় মনোনয়ন দেওয়া হবে সুন্দর মনের নেতাকে। এবার মনোনয়ন পাবে যার জনর্থন রয়েছে তাকে।ইতিমধ্যে মনোনয়ন যোগ্য প্রার্থীর নাম জননেত্রীর গুডবুকে রয়েছে উল্লেখ করেন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি।তিনি ২৩ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে কক্সবাজার সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ কর্তৃক বিশাল জনসভায় প্রধান অথিতির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন।মন্ত্রী বলেন দেশের উন্নয়ন হলে বিএনপির খারাপ লাগে কারন তারা উন্নয়ন বান্ধব ছিল না বলে। তারা সব সময় উন্নয়নের নামে লুটেপুটে খেয়েছে। এমনকি এতিমের টাকা পর্যন্ত বাদ যায়নি।তিনি বলেন বিলবোর্ড পোষ্টার না তুলে ঐ টাকা দিয়ে অস্বচ্ছল
দলীয় নেতাকর্মীদের সহযোগিতা করুন। এসময় তিনি আক্ষেপের সুরে বলেন বিলবোর্ড করতে এত টাকা আসে কোত্থেকে? তিনি বলেন মনোনয়ন সবাই চাইতে পারে। সবপ্রার্থীকে যাচাই বাচাই করে যার জনপ্রিয়তা বেশি তাকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে। এসময় এক এমপি প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরা শ্লোগান দিলে আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন শ্লোগান দিয়ে কোন লাভ হবে না । বিএনপির প্রতি প্রশ্ন ছুড়ে মন্ত্রী বলেন ,সাবমেরিন কেবল তাদের কাছে প্রস্তাব আসছিল তারা কি এই প্রস্তাব গ্রহণ করেছিল? করেননি কেন করেননি তারা দেশকে পিছিয়ে রাখতে বদ্ধপরিকর ছিল। জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে।জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের নিরাপদে বিদেশে পাঠিয়ে মেজর জেনারেল জিয়া কলংকময় অধ্যয় রচনা করেছিল এমন কি খুনিদের দূতাবাসের চাকরি দিয়ে বাংলার জনগনের সাথে মুনাফেকি করছিল। জাতীয় ঐক্যজোট নামের ষড়যন্ত্রকারীদের একটি অংশ দেশের মানুষকে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।কোন কাজ হবে না এ বিভ্রান্তি। ঐক্যজোট নেতাদের মিটিং এর ছবিও জনগণ দেখেছে। তারা সবকিছুতেই দূর্বল যা তাদের মিটিং এর ঘুমন্ত ছবি দেখলেই বুঝা যায়।এর আগে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুল হক হানিফ ,সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামিম,ব্যারিষ্টার মহিবুল
হাসান চৌধুরী নওফেল,উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন,বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ছফুর আলম প্রমূখ।বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান মেয়র, সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল,আশেক উল্লাহ রফিক,আবদুর রহমান বদি,কউক চেয়ারম্যান লেঃকর্নেল ফোরকান আহমদ, জেলা যুবলীগের সভাপতি সোহেল আহমদ বাহদুরসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগ,যুবলীগ, ছাত্রলীগ,স্বেচ্ছাসেবকলীগ,শ্রমিকলীল, মহিলা আওয়ামীলীগ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের অসংখ্য নেতাকর্মীসহ ৩০/৩৫ হাজার নেতাকর্মী। এর আগে বিকাল বাড়ার সাথে নেতাকর্মীরা বাদ্যযংন্ত্ররা বাজিয়ে দলে দলে মিছিল সহকারে সমাবেশ স্থলে যোগদান করেন।উপজেলার আওয়ামীলীগ সভাপতি মোঃ আবু তালেবের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল করিম মাদুর উপস্থাপনায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।