বিশেষ প্রতিবেদক:

চাঁদাবাজির পর এবার মৃত মানুষের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে প্রতারণা করায় কুতুবদিয়া উপজেলার বড়ঘোপ ইউনিয়নের মগডেইল মৌলভী পাড়ার মৃত মাষ্টার তালেব উল্লাহর ছেলে আ ন ম শহীদ উদ্দিন ছোটনসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ফের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন কুতুবদিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত। পরোনাভুক্ত অন্য আসামীরা হলেন- মগডেইলের মৃত জাফর আলমের ছেলে দিদারুল ইসলাম, ঘোনারমোর এলাকার আজিজুর রহমানের ছেলে মোঃ ইউছুপ প্রকাশ মানিক, ছিন্নি খাইয়ার পাড়ার মৃত নাছির উদ্দিনের ছেলে মফিজ আলম, কক্সবাজার ঝাউতলা এলাকার এডভোকেট নুরুল আজিম, এন্ডারসন রোড এলাকার এডভোকেট এটিএম শেফায়েতুল হক।

গত ৭ মে একই ইউনিয়নের মুরালিয়া গ্রামের আলহাজ্ব দিল মোহাম্মদের দায়ের করা প্রতারণা মামলার (সি,আর ১২৫/২০১৮) দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত ২০ আগষ্ট বিজ্ঞ আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে ২৮ আগষ্ট উচ্চ আদালতে জামিন আবেদন করেন আসামীরা। বিজ্ঞ আদালত আসামীদের ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিন্ম আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু উচ্চ আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে নিন্ম আদালতে হাজির না হওয়ায় মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ফের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন কুতুবদিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বড়ঘোপ ইউনিয়নের মুরালিয়া গ্রামের আলহাজ্ব দিল মোহাম্মদ বিগত ২০০৪ সালের ২১ জানুয়ারি ৩৮নং রেজিষ্টার্ড দলিল মূলে বি,এস রেকর্ড মালিক হতে উপজেলা গেইটের পূর্ব পাশে আজম রোড সংলগ্ন ৪.৫০ শতক জমি ক্রয় করে তাতে টিনের চাল ও বেড়া দিয়ে ৪টি দোকানঘর নির্মাণ করেন। জনৈক মফিজ আলম, দিদারুল ইসলাম, মোঃ ইউছুপ প্রকাশ মানিক ও মিজান দোকান ঘর ৪টি লিখিত ভাড়ানামা চুক্তিপত্র মূলে ভাড়া নেয়। বি,এস রেকর্ড মালিকের স্বাক্ষর এবং টিপসই জাল করে নিবন্ধিত কবলার আড়ালে জাল দলিল সৃষ্টি করে নিজেকে দোকানের মালিক দাবী করেন ছোটন। সেই সুবাদে বিনা ভাড়ায় দোকান করার সুযোগ দেয়ার লোভ দেখিয়ে গত ১৫ জানুয়ারী দিদারুল ইসলাম ও মফিজ আলমের সাথে দু’টি পৃথক ভাড়ানামা চুক্তিপত্র সম্পাদন এবং একই তারিখে ভাড়ানামা চুক্তিপত্র দু’টি কক্সবাজারের এডভোকেট এন্ড নোটারী পাবলিক মোহাম্মদ নুরুল আজিমের কার্যালয়ে ঘোষনা দিয়ে ৯০ ও ৯১ নং ক্রমিকে নিবন্ধন করে জঘন্য জাল জালিয়াত এবং প্রতারণার ঘটনা সংঘঠিত করেন।

জাল জালিয়াতের কথা প্রকাশ পেলে তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নেয়ায় গত ৫ মে সন্ধ্যা ৭ টায় দোকান মালিকের উপর চড়াও হয় এ প্রতারক চক্র। তাদের বিরুদ্ধে বিচারাধীন সব মামলা প্রত্যাহার এবং জাল জালিয়াতের ঘটনার বিষয়ে পুনরায় মামলা করার চেষ্টা করলে দিল মোহাম্মদ ও তার ব্যবসায়ী ছেলে জয়নাল আবেদীনকে অপহরণ করে গুম ও হত্যা করার হুমকি দেওয়ায় বাধ্য হয়ে দোকান মালিক আলহাজ্ব দিল মোহাম্মদ আদালতের সরনাপন্ন হয়েছেন বলে মামলা সূত্রে প্রকাশ।