শাহীন মাহমুদ রাসেল :
সড়ক ও জনপদ বিভাগ এবং পৌরসভাসহ সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারনে কক্সবাজার শহরের কলাতলী থেকে মেরিন ড্রাইভ সড়ক পর্যন্ত সড়কের বেহাল দশা। রাস্তার মাঝখানে বিশাল বিশাল গর্ত আর খানাখন্দে যানবাহন চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়েছে সড়কটি। এই অবস্থায় সাধারণ জনগণের দূর্ভোগের কোন অন্ত না থাকলেও আক্কেল হচ্ছে না কর্তৃপক্ষের।
কক্সবাজার শহরের কলাতলী মোড় থেকে মেরিন ড্রাইভ সড়ক দিয়ে টেকনাফ পর্যন্ত প্রায় ৮২ কিলোমিটার। কলাতলী-মেরিন ড্রাইভ সড়কের আগে প্রায় এক কিলোমিটার অংশের পিচ কার্পেটিং উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে খানা খন্দের। দেখলে মনে হয় এ যেন সড়ক নয়, মরণ ফাঁদ।একটু বৃষ্টি হলেই সড়কের এসব খানা খন্দ পানিতে ভরে গিয়ে বিঘ্ন ঘটে যান চলাচলে। এভাবে বিপদের আশঙ্কা নিয়েই যান চলাচল করছে এই সড়কে। রাস্তাটি জনসাধারণ ও পর্যটকের জন্য অতি গুরত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম যাতায়াত মাধ্যম। এই সড়কটি ধরে প্রতিদিন হাজার হাজার নামি-দামী গাড়ি রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও টেকনাফ এবং পর্যটক যান সেন্টমার্টিনে। কিন্তু এই সড়কেই প্রতিদিন ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা।
স্থানীয় কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, খানাখন্দগুলি এখন বড় বড় গর্তে পরিনতি হওয়ার ফলে গর্তে পড়ে দূর্ঘনার সম্ভবনা বেশি থাকে। অনেক সময় রিক্সাসহ বিভিন্ন যানবাহন গর্তে পড়ে দূর্ঘটনাও ঘটছে প্রায় সময়। এদিকে কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ ভিআইপি সড়ক হিসেবে পরিচিত কলাতলী অংশ বর্তমানে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। বছরে কয়েকবার কাজ করেও কাজ গুলো নিন্ম মানের হওয়াতে বর্তমানে বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে। চলতি বর্ষার শুরুতে সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়। সড়কটিতে শতাধিক খানাখন্দের সৃষ্টি হলেও পৌর কতৃপক্ষ এখন পর্যন্ত তা মেরামতের কোন ব্যবস্থা নেয়নি। সড়কটি সংস্কার না করায় খানাখন্দগুলো এখন ছোট থেকে বড় গর্তে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তবুও প্রয়োজনের তাগিতে প্রতিদিনই হাজার হাজার মানুষ এবং লক্ষ লক্ষ পর্যটক বাধ্য হয়েই ঐ রাস্তা দিয়েই চলাচল করছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ যেখানে রাষ্ট্র ও সরকারের সর্বোচ্চ ব্যক্তি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, সচিব, মন্ত্রী, এমপি সহ কক্সবাজার ভ্রমণে আসা ভিভিআইপিরা অবস্থান করেন। রয়েছে জেলার সর্বোচ্চ প্রশাসনিক কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, নৌ ও সেনা বাহিনী, বিভাগীয় বন কর্মকর্তাসহ বেশ কিছু সরকারি উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা যাতায়াত করলেও কারো কি চোখে পড়েনা?
সড়কটি দীর্ঘদিন ধরেই নাজেহাল অবস্থায় রয়েছে। জনগণের কাছে সড়কটি এখন মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সড়কটির এমন করুণ অবস্থা হয়েছে যে, যানবাহন তো পরের কথা পায়ে হেঁটেও চলাচল করা কষ্টকর। সড়কটি যদি দ্রুত সংস্কার না করা হয় তাহলে জনগণের দুর্ভোগ বেড়েই চলবে। সড়কের খারাপ অবস্থার কারণে স্বপ্নের মেরিন ড্রাইভের সুনাম ক্ষুন্ন হবে বলে মনে করছেন অনেকে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।