আবদুল মজিদ, চকরিয়া:
কক্সবাজার জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান (উপমন্ত্রী), সাবেক দু’বারের সাংসদ, জাতীয় পার্টি (জেপি) প্রেসিডিয়াম সদস্য, বীরমুক্তিযোদ্ধা জননেতা এএইচ সালাহ উদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, এমপি হওয়া বড় কথা নয়, বঙ্গবন্ধু-মুক্তিযুদ্ধের পরিবার রক্ষা ও শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করাই বড় কথা।
চকরিয়া প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। ২৫ সেপ্টেম্বর বিকাল ৩টায় তার বাসভবনে শুভেচ্ছা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
চকরিয়া প্রেসক্লাবের দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত সভাপতি আবদুল মজিদেরেনেতৃত্বে সাক্ষাতে উপস্থিত ছিলেন- সাধারণ সম্পাদক একেএম বেলাল উদ্দিন, সহসভাপতি এম রায়হান চৌধুরী, সহসাধারণ সম্পাদক এসএম হান্নান শাহ, অর্থ সম্পাদক জহিরুল আলম সাগর, নির্বাহী সদস্য সাঈদী আকবর ফয়সালসহ ক্লাব নেতৃবৃন্দরা। শুভেচ্ছাকালে সাবেক এমপি এএইচ সালাহ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, এমপি হওয়া বড় কথা নয়, বঙ্গবন্ধুকে ভালবেসে তার পরিবার ও মুক্তিযুেেদ্ধর স্বপক্ষ শক্তিকে রক্ষা করা এবং দেশের উন্নয়নে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবারো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনতে কাজ করতে পারাই বড় কথা। তিনি স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, কক্সবাজার প্রেসক্লাব আমার হাতেই গড়া একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। আমি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থাকাকালে দল,মত নির্বিশেষে জনগণের পাশাপাশি কক্সবাজারের সাংবাদিকদের উন্নয়নে কাজ করেছি।
জানতে চাইলে চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের ডেপুটি বাড়ির বাসিন্দা এএইচ সালাহউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ১৯৮৫ সালে বৃহত্তর চকরিয়া উপজেলা (চকরিয়া-পেকুয়া) প্রথম নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান। ১৯৮৬ সালে চকরিয়া-পেকুয়া আসন থেকে তৃতীয় ও ১৯৮৮ সালে চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সদস্য নির্বাচিত হন এবং ১৯৮৮ সালে উপ-মন্ত্রীর পদমর্যাদায় কক্সবাজারের প্রথম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযোদ্ধ চলাকালে মুজিব বাহিনী নামে বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স (বিএলএফ) এর কক্সবাজার মহকুমার কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে সরকারের বন ও পরিবেশ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ও প্রাক্তন মন্ত্রী শেখ শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বধীন জাতীয় পার্টি -জেপি’র) কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রভাবশালী প্রেসিডিয়াম সদস্য। তিনি ছাত্র জীবন থেকেই স্বাধীনতার স্বপক্ষের আন্দোলন করেছেন। ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬ দফা ও ১১ দফা আন্দোলনসহ বিভিন্ন আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ওই সময়ে পাকিস্তানী বাহিনীর নির্মম নির্যাতন ও কারাভোগের শিকার হন। ১৯৬৫ সালে চট্টগ্রাম সরকারী বাণিজ্য কলেজ ছাত্র সংষদের সহসাধারণ সম্পাদক, ১৯৬৭ সালে যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তৎসময়ে সভাপতি ছিলেন বর্তমান ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন সিকদার। ১৯৬৯ সালে চট্টগ্রাম ছাত্রলীগ নেতা, ১৯৭০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক প্রতিষ্টান, বাংলা জাতীয় সাংস্কৃতিক আন্দোলনের প্রথম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তৎসময়ে ওই কমিটির সভাপতি ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী শেখ ফজলুল করিম সেলিম। ১৯৭৩ সালে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ছিলেন। তৎসময়ে সভাপতি ছিলেন সাবেক মন্ত্রী শেখ শহিদুল ইসলাম ও দপ্তর সম্পাদক ছিলেন বর্তমান আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ১৯৭৪ সালে বুলগেরিয়া সরকারের স্কলারশীপ নিয়ে রাজধানী সুফিয়াস্থ সোস্যাল সায়েন্স এন্ড পাবলিক এডমিনিষ্ট্রেশন একাডেমী থেকে প্রশাসনের উপর উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি ১৯৫০ সালের ২৫ নভেম্বর জন্ম গ্রহণ করেন। তাহার পিতা এএ সুলতান মাহমুদ বিএ,ইপিসিএস।
সালাহউদ্দিন মাহমুদ বলেন, তিনি কক্সবাজার জেলা পরিষদ ভবন তার হাতেই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। চকরিয়া উপজেলায় নতুন সরকারী হাসপাতাল নির্মাণ, চকরিয়া কলেজকে ডিগ্রি কলেজে উন্নীত করণ, মাতামুহুরী নদীর উপর বাটাখালী সেতু নির্মাণ, পেকুয়া কাটাফাড়ি সেতু নির্মাণ, বাঘগুজারা সালাহউদ্দিন ব্রীজ, বরইতলী মগনামা ভায়া কুতুবদিয়া সড়ক নির্মাণ, চকরিয়া বদরখালী সড়কের উন্নয়ন, চিংড়ি জমির সঠিক বরাদ্ধের মাধ্যমে চিংড়ি চাষে নতুন দিগন্তের সূচনা। তিনি এত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা সত্ত্বেও কক্সবাজার কিংবা ঢাকা শহরে নিজের নামে একখন্ড জমিও কোথাও নেননি।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।