মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্ক, নাইক্ষ্যংছড়ি:
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের গহীন পাহাড় সাপমারাঝিরি ত্রিষ্টার রাবার বাগান নামক স্থানে পুলিশ-সন্ত্রাসী গুলিবিনিময় হয়েছে।
বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ইউনিয়নের সাপমারাঝিরি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় সন্ত্রাসীরা গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে সন্ত্রাসীদের ফেলে যাওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ তৈরীর সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গেল সোমবার ভোররাতে রামু উপজেলার গর্জনীয়া থেকে অপহৃত জামাল হোসেনকে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে অক্ষত অবস্থায় মুক্তিপন ছাড়াই উদ্ধার করেছে বলে বাইশারী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ একেএম হাবিবুল ইসলাম জানান।
তিনি জানান, অপহরণ থেকে উদ্ধার হওয়া জামাল হোসেনকে গর্জনীয়া পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ আলমগীরের নিকট হস্থান্তর করা হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া যুবক জামাল হোসেন জানান, তাকে অপহরণের পর থেকে মুক্তিপনের জন্য মারধর করে আসছিল এবং অপহরণকারীরা তার চোখ সবসময় বন্ধ রাখে। তাছাড়া অপহরণকারীরা পাহাড়ে বিভিন্ন সময় স্থান বদলও করে।
পুলিশ জানায়, বুধবার সকাল ১০টার দিকে রাবার বাগানে কাজ করতে যাওয়া শ্রমিকেরা সন্ত্রাসীদের গহীন পাহাড়ে দেখতে পেয়ে তাৎক্ষনিক বাইশারী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জকে ঘটনাটি মোবাইল ফোনে জানালে সাথে সাথে এসআই বেলাল, এ এসআই রুবেল, এ এসআই মোজাম্মেল হকের এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ গহীন পাহাড়ে পৌছে সন্ত্রাসীদের ঘেরাও করে ফেলে। ঐ সময় সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়ে। প্রায় আধা ঘন্টা সন্ত্রাসী এবং পুলিশের মাঝে গুলি বিনিময় হয়। পুলিশের সাহসী অভিযানে সন্ত্রাসীরা পিছু হটতে বাধ্য হয়।
অভিযানে নেতৃত্বদানকারী এসআই মোঃ বেলাল জানান, সন্ত্রাসীদের সাথে গুলি বিনিময়ের এক পর্যায়ে তারা পাল্টা গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলটি গহীন পাহাড় ও জঙ্গলাকীর্ণ হওয়ায় সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। ঘটনাস্থল থেকে তল্লাসী চালিয়ে ডাকাত সদস্যদের ফেলে যাওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ তৈরীর সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। তাছাড়া রামু উপজেলার গর্জনিয়া থেকে অপহৃত জামাল হোসেনকে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে অক্ষত অবস্থায় মুক্তিপন ছাড়াই উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, সন্ত্রাসীদের ধরতে বাইশারী পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, গেল সপ্তাহে আনাইয়্যা বাহিনীর প্রধান সহযোগী মোঃ আনোয়ার বলি বাইশারীর গহীন পাহাড়ে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হলেও আনোয়ার বাহিনীর প্রধান আনোয়ার রয়েছে বহাল তবিয়তে। তাকে ও তার সহযোগীদের খতম না করা পর্যন্ত এলাকায় অপহরণ, খুন, গুম, ডাকাতি, চাদাবাজি, মুক্তিপন বানিজ্য বন্ধ হবে না বলে স্থানীয়দের অভিমত। তাই বান্দরবান জেলা পুলিশ ও কক্সবাজার জেলা পুলিশের সমন্বয়ে যৌথ অভিযানের মাধ্যমে আনাইয়্যা বাহিনীকে খতম সম্ভব হবে বলে এলাকাবাসীরা জানান।
নাইক্ষ্যংছড়িতে পুলিশ-সন্ত্রাসী গুলিবিনিময়ঃ অপহৃত যুবক ও অস্ত্র তৈরীর সরঞ্জাম উদ্ধার
পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।