মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

স্বপরিবারে এক সপ্তাহের জন্য গত ১৪ অক্টোবর মালয়েশিয়া ভ্রমনে যাওয়া সিবিএন সম্পাদক ও কক্সবাজার সিটি  কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক আকতার চৌধুরী ১৬ অক্টোবর মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে লংকা ওয়ে ভ্রমন করেন। লংকা ওয়ে হচ্ছে, মালয়েশিয়ার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আধুনিক মালয়েশিয়ার স্থপতি ডঃ মাহাথির মোহাম্মদের নিজস্ব সংসদীয় আসন। কক্সবাজারের নাগরিক ও মালয়েশিয়াতে সুপ্রতিষ্ঠিত প্রবাসী করিম সাহেবের নিজস্ব হোটেল থেকে অধ্যাপক আকতার চৌধুরীর তিন সন্তান ও স্ত্রীর আগ্রহে করিম সাহেবের প্রাইভেট কার নিয়ে কেবল কারে চড়তে যাওয়ার সময় মঙ্গলবার সকালে নেটে লাইভ দেখিয়েছেন তিনি। এটা একটা দ্বীপ। দ্বীপটা নাকি কক্সবাজারের মহেশখালীর চেয়ে একটু বড় হবে।

করিম সাহেবের জানামতে, এই অপরূপ দ্বীপের জনসংখ্যা সর্বোচ্চ ৩০ হাজার। রাস্তায় চলাকালীন লাইভে দেখা ডাবলওয়ে রাস্তার পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ছিল চোখে পড়ার মতো। কোন যানজট নেই। গাছপালা, পাহাড়, প্রাকৃতিক পরিবেশের কোন ক্ষতি নাকরেই এখানকার বসতি ও টেকসই উন্নয়ন করা হয়েছে। রাস্তায় গাছপালাসহ ডিভাইডার ও দুপাশ, চলমান অবস্থায় চতুর্দিকের নয়নাভিরাম দৃশ্য যেন মন ছুঁয়ে যায়। স্থল থেকে প্রায় ১০ হাজার ফুট উচুতে কেবল কারে চড়ার সময় আকাশে মেঘের ছোঁয়া পাওয়া যেন এক বিশাল প্রাপ্তি। এখানে ভ্রমনে আনন্দের কোন সীমা নেই। এই বিশাল উচ্চতায় কেবল কারের উড়ন্ত রেষ্টুরেন্টে বসে সিবিএন সম্পাদক স্বপরিবারে নাস্তা পানি খেয়েছেন সবার যাতে ইর্ষা লাগে (ছবি উপরে)। কেবল কারের চর্তূদিকে স্বচ্চ গ্লাস হওয়ায় কার চলমান অবস্থায় বাহিরে সবকিছু দেখা যায় সহজে। ভ্রমন পিপাষু কক্সবাজার অন প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক আকতার চৌধুরী লাইভ দেখানোর সময় সেখানে ছিল কখনো বৃষ্টি, আবার কখনো রোদ। এরকম রোদ বৃষ্টিতে বিদেশ ভ্রমন কারনা ভাল লাগে। মালয়েশিয়ার এই এলাকাটা মাহাথিরের নিজস্ব সংসদীয় আসন হওয়ায় তিনি নিজের মতো করে সাজিয়েছেন এলাকাটিকে। দেখলে মনে হয়, স্বপ্নের মালয়েশিয়া আসলেই যেন স্বপ্নিল। লাইভ সম্প্রচারের সময় সেখানকার লোকজনের ট্রফিক আইন মানার প্রবনতা ছিল লক্ষনীয়। করিম সাহেবের আন্তরিক সহযোগিতা ও আতিথেয়তায় মুগ্ধ অধ্যাপক আকতার চৌধুরীর সাথে আছেন, তাঁর সহধর্মিনী, জ্যেষ্ট কণ্যা রিসতা, মেজ কণ্যা আরিসা ও  কণিষ্ট কণ্যা রূপ।