ইমাম খাইর, সিবিএন:
সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে টেকনাফ নতুন জেটিঘাট সংলগ্ন নাফনদীতে প্রায় ৩০০ পর্যটক নিয়ে জেলেদের বসানো বিহিঙ্গি জালে আটকা পড়ে বেক্রুজ নামের একটি সী-ট্রাক।
শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জাহাজটি আটকা পড়ে। এরপর পাঁচ ঘণ্টা পেরুলেও জাহাজটি জাল থেকে মুক্ত করা যায়নি।
অবশেষে অনেক প্রচেষ্টা চালিয়ে সন্ধ্যায় জাহাজটি উদ্ধার করে ঘাটে আনা হয়েছে। তবে, যেসব পর্যটকদের সেন্টমার্টিনে রাত্রিযাপনের কথা, তাদের দু’টি কাঠের বোটে করে সেন্টমার্টিন পাঠানো হয়েছে। বাকিদের টেকনাফে নিয়ে আসা হয়েছে। যারা সেন্টমার্টিন যেতে পারেননি তাদের টিকিটের টাকাও ফেরত দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেক্রুজের কর্মকর্তা মো. কালাম।
আটকে পড়া জাহাজের যাত্রী মো. ইউনুস মুঠোফোনে জানান, টেকনাফ দমদমিয়া ঘাট থেকে প্রায় ৩০০ জন যাত্রী নিয়ে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে যাত্রা করে বেক্রুজ। জাহাজটি একঘণ্টা চলার পর টেকনাফ নতুন জেটি এলাকায় এসে নাফনদীতে জেলেদের বসানো জালে আটকে যায়। সেই থেকে অনেক চেষ্টা করেও জাহাজটি মুক্ত করা যায়নি।
তিনি বলেন, জাহাজের সব যাত্রীই পর্যটক। আনন্দমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে টেকনাফ থেকে সবাই যাত্রা শুরু করলেও মুহূর্তেই সবকিছু ম্লান হয়ে গেছে।
২ ফেব্রুয়ারী সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার দমদমিয়া জাহাজ ঘাট হতে সেন্টমার্টিনগামী প্রায় ৩০০ পর্যটক বোঝাই জাহাজ বে-ক্রুজ টেকনাফ পৌর এলাকার জেটিঘাট পেরিয়ে দেড়শ গজ যাওয়ার সাথে সাথে নাফনদীতে জাহাজের পেছনের পাখা ডুবন্ত বিহিঙ্গী জালে আটকা পড়ে। আটকা পড়ার পর হতে বিকাল ৩টা পর্যন্ত কোস্টগার্ড-বিজিবির সহায়তায় জাহাজটি উদ্ধারের চেষ্টা চলে। তাদের যাত্রা ব্যাহত হওয়ায় জাহাজে থাকা শতাধিক পর্যটকেরা হতাশ হয়ে টেকনাফে ফিরে এসেছে। ৮০ জন পর্যটক কাঠের ট্রলারে করে সেন্টমার্টিনে পৌঁছান।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ রবিউল হাসান কাজল বলেন, পর্যটকবাহী জাহাজ জালে আটকা পড়ে সেন্টমার্টিন যাত্রা ব্যাহত হওয়ার ঘটনা দুঃখজনক। পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের পথে নাফনদী ও বঙ্গোপসাগরে যাতে মাছ ধরার জাল বসানো না হয় সেজন্য ৩ ফেব্রুয়ারী আইনশৃংখলা বাহিনীসহ জেলেদের নিয়ে জরুরী বৈঠক ডাকা হয়েছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।