নিউজ ডেস্ক :
পাহাড়, সমুদ্র ও দ্বীপের সৌন্দর্য একসঙ্গে উপভোগের সুযোগ তৈরি হচ্ছে নাফ ট্যুরিজম পার্কে। এ পার্কে পর্যটকদের বাড়তি আকর্ষণ হিসেবে থাকছে নেটং পাহাড় থেকে জ্বালিয়ার দ্বীপ পর্যন্ত সাড়ে ৯ কিলোমিটারের কেবলকার। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) দেশের পর্যটনের বিকাশে এ মনোরম পার্ক স্থাপনের পদক্ষেপ নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেজা এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পার্কে কেবলকার স্থাপনের পরামর্শ পরিষেবার বিষয়ে চুক্তি করেছে। বেজা কার্যালয়ে চুক্তিতে সই করেন সংস্থার মহাব্যবস্থাপক শোহেলের রহমান চৌধুরী এবং চুয়েটের ব্যুরো অব রিসার্চ, টেস্টিং অ্যান্ড কনসালট্যান্সির পরিচালক ড মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
চুক্তি অনুযায়ী, কেবলকার স্থাপনের জন্য চুয়েট সম্ভব্যতা যাচাই, পরিবেশগত ও সামাজিক প্রভাব সমীক্ষা করবে। এটি নির্মাণের জন্য নকশা তৈরির পাশাপাশি নির্মাণকালীন সময়ে এ কাজের তত্ত¦াবধান বাড়বে।
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় নাফ নদীর তীরে অবস্থিত ডিম্বাকৃতির জালিয়ার দ্বীপে হচ্ছে নাফ ট্যুরিজম পার্ক। সুউচ্চ পাহাড় আর নদীঘেরা নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যম-িত ২৯০ একর জমির এই দ্বীপে আন্তর্জাতিকমানের ট্যুরিজম পার্ক স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
পার্কে পাঁচ তারকা হোটেল, ঝুলন্ত সেতু, কেবলকার নেটওয়ার্ক, রিসোর্ট, ভাসমান জেটি, শিশুপার্ক, ইকো-কটেজ, ওসানেরিয়াম ও ভাসমান রেস্টুরেন্টসহ বিনোদনের বিভিন্ন আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। পার্ক উন্নয়নে আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ হবে। এ দীপে ইতিমধ্যে বিদ্যুৎ পৌঁছেছে। ভূমি উন্নয়নের কাজ চলছে। গতকাল চুক্তি সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, দেশে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের পাশাপাশি বিশেষায়িত বিশ্বমানের পর্যটন পার্ক তৈরিতে সরকারের নানা পরিকল্পনা আছে। এসব পার্ক নির্মাণ করে পর্যটন শিল্পে দেশের ব্র্যান্ড ইমেজ তৈরি এবং বৈচিত্র্যময় পর্যটনবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে চায় সরকার।
তিনি বলেন, আগামী ১ ডিসেম্বরের মধ্যে বেজাকে সীমিত আকারে হলেও নাফ ট্যুরিজম পার্কের কার্যক্রম শুরু করতে হবে। যাতে এখানে পর্যটকরা রাতযাপন করে অন্ধকার কিংবা জ্যোৎ¯œা উপভোগ করতে পারেন। আগামী দুই বছরের মধ্যে পূর্ণাঙ্গভাবে চালুর নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, কক্সবাজারের সামগ্রিক উন্নয়নের সঙ্গে সাবরাং, সেন্টমার্টিন ও সোনাদিয়া পার্কের কার্যক্রমকে যুক্ত করতে হবে। দেশে সেবার মান বাড়ানো সম্ভব হলে বিদেশে ঘুরতে যাওয়ার অর্থ সাশ্রয় হবে।
সভাপতির বক্তব্যে বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, তাদের সংস্থা পর্যটন শিল্প নিয়ে নতুন ভাবনা যুক্ত করেছে। পর্যটন উন্নয়নের জন্য ১৩ হাজার একর জমি বেজার রয়েছে। আগামী সপ্তাহে পর্যটন করপোরেশনের সঙ্গে পর্যটন উন্নয়ন নিয়ে চুক্তি সই হবে। এসব পর্যটনকেন্দ্র উন্নয়নে বিনিয়োগের প্রস্তাব নিয়ে এসেছে অনেকে। সোনাদিয়া পার্কের জন্য মাস্টার প্ল্যান করা হয়েছে। সাবরাং পার্কে বিনিয়োগ আসছে।
চুয়েটের উপাচার্য ড মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, কেবল কার তৈরির পরিকল্পনা সফল করতে তাদের প্রতিষ্ঠান সচেষ্ট থাকবে, যাতে এ পার্ক আকর্ষণীয় ও বিশ্বমানের হয়। পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান আখতারুজ জামান খান কবির বলেন, বেজার সঙ্গে পর্যটন উন্নয়নে কাজ করবে তাদের সংস্থা। পাহাড় ও বন বিবেচনায় রেখে পর্যটনের উন্নয়ন করা হবে।
নাফ ট্যুরিজম পার্কে হচ্ছে ক্যাবলকার
পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।