ইমাম খাইর, সিবিএনঃ
কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও হলো বৃহত্তর এলাকার ৭ টি ইউনিয়নের মিলন ক্ষেত্র। এখানে সপ্তাহে দুইবার হাট বসে। বিভিন্ন খাত থেকে প্রতি বছর সরকার পাচ্ছে কোটি টাকা রাজস্ব।
কিন্তু অপরিকল্পিত সড়ক ব্যবস্থাপনা, যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, ফুটপাত দখল করে দোকানপাট বসানোসহ বেশ কিছু কারণে জেলার বৃহত্তর বাজারটি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।
যেখানে সেখানে গাড়ি দাঁড়ানোর কারণে বাস স্টেশন দিয়ে খালি পায়ে চলাচলও দায় হয়ে পড়েছে। মাত্রাতিরিক্ত টমটম, অটোরিকশা সড়কের শৃঙ্খলা গিলে খাচ্ছে। যানজট নিয়ন্ত্রণ বা নিরসনে নেই কোন ট্রাফিক ব্যবস্থা। স্থানীয় পুলিশ যেটুকু করছে তাও অপ্রতুল। একবার জট লাগলে অনেকক্ষণ স্থায়ী থাকে। করুন পরিস্থিতির শিকার হতে হয় সবাইকে।
সব মিলিয়ে যানজট নিরসনে কিছু প্রস্তাবনা দিয়েছেন আলীরাজ পরিবহনের চেয়ারম্যান ও তরুণ উদ্যোক্তা সিরাজ আকবর।
বৃহস্পতিবার (৭ জুুুন) বিকালে কক্সবাজার নিউজ ডটকম (সিবিএন)এর সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে বিরাট একটি অংশ বৃহত্তর ঈদগাঁওর। নারী আসনের সংসদ সদস্য, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এখানকার।
তবু এই এলাকাটি পিছিয়ে, কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন বঞ্চিত। যেন ঈদগাঁওকে দেখভালের কেউ নেই। অনিয়ন্ত্রিত যানজটের কারণে ঈদগাঁও বাসষ্টেশন করুন অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে। এমন দশার অবসান হওয়া চাই। এই জন্য প্রয়োজন কিছু উদ্যোগ। নিতে হবে কর্মপরিকল্পনা।
যানজট নিরসনে করণীয় উল্লেখ করে সিরাজ আকবর বলেন, ঈদগাঁও কেন্দ্রিক একটি ট্রাফিক ক্যাম্প স্থাপন জরুরী। যেখানে থাকবে অন্তত ১ জন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই), ১ জন ট্রাফিক সার্জেন্ট ও ৫ জন কনস্টেবল। স্টেশনের যানজট কমানো গেলে পুরো বাজারের শৃঙ্খলা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
তিনি বলেন, দক্ষিণ দিক তথা কক্সবাজার এর দিক থেকে আসা টমটম, সিএনজি, অটোরিকশাগুলোকে আনু মিঞা সিকদারের ফিলিং স্টেশন এলাকায় রাখতে হবে।
উত্তর দিক তথা চট্টগ্রামের দিক থেকে আসা টমটম, সিএনজি, অটোরিকশাগুলোকে স্টেশনের ব্রিজের উত্তরে দাঁড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে। গোমাতলীর পথ দিয়ে আসা যানবাহনগুলোকেও এখানে রাখতে হবে।
ঈদগড় লাইনের গাড়িগুলোকে যাত্রী ছাউনির পেছনে পার্কিং করাতে হবে।
এছাড়া হাইয়েস, মাইক্রোগুলোকে অফিসের সামনের খালি জায়গার বাইরে না দাঁড়ানোর জন্য বাধ্য করতে হবে।
প্রস্তাবনায় তিনি বলেন, ঈদগাঁও বাস স্টেশনে যেসব দূরপাল্লার যাত্রীবাহী পরিবহনের কাউন্টার রয়েছে তাদের নিজস্ব কাউন্টারের বাইরে দাঁড়াতে দেয়া যাবে না। রাস্তার উপর গাড়ি দাঁড়ানো যে কোনভাবেই থামাতে হবে। ফুটপাত দখল করে বসানো দোকানপাট সরিয়ে সিএনজি, অটোরিকশা পার্কিং এন ব্যবস্থা করতে হবে।
গাড়ি চালক ও সংশ্লিষ্টদের ট্রাফিক ব্যবস্থার উপর বিশেষ প্রশিক্ষণ আয়োজন করার প্রতিও গুরুত্বারোপ করেন পরিবহন নেতা সিরাজ আকবর।
তরুণ উদ্যোক্তা সিরাজ আকবর কক্সবাজার জেলার প্রবীণ ড্রাইভার ঈদগাঁও খোদাইবাড়ির বাসিন্দা আলী আকবরের চার সন্তানের সর্বকনিষ্ট।
তিনি কক্সবাজার জেলা মাইক্রোবাস ও কার মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং আলী মোটরস এর কক্সবাজার জেলার ডিলার।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।