ইমাম খাইর, সিবিএনঃ
লিগ্যাল এইড সার্ভিস সংস্থার পরিচালক ও সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেছেন, রোহিঙ্গাদের আইনগত সহযোগিতা দিতে কোন বাধা নেই। এটি তার মৌলিক অধিকার। মানুষ অধিকার নিয়েই জন্মগ্রহণ করে।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ন্যাশনাল লিগ্যাল এইড সার্ভিসেস অর্গানাইজেশন (এনএলএসএও) এবং কক্সবাজার জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির (ডিএলএসি) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘শেয়ারিং সেশনস অন ইফেক্টিভ কেস রেফারেন্স মেকানিজম’ শীর্ষক ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোঃ আমিনুল ইসলাম কথাগুলো বলেছেন।
তিনি বলেন, লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে আইনী সেবা গরীব ও অসহায় মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে সরকার। আইনজীবীদেরও পেশাগত দায়িত্ব হিসেবে বিরোধ নিষ্পত্তিতে আন্তরিক হতে হবে। সরকারি আইনি সেবা গ্রামে-গঞ্জে পৌঁছাতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা ও দায়রা জজ খন্দকার হাসান মোঃ ফিরোজ বলেন, দুর্বল, অসহায়, নিপীড়িত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য ২০০০ সালে সরকার লিগ্যাল এইড সেবা চালু করেছে।
তিনি বলেন, বিশাল জনগোষ্ঠীর বিবেচনায় আমাদের অনেক মামলা। এটা স্বাভাবিক।
যে যেখানে আছি দেশাত্মবোধ ও দায়বদ্ধতা নিয়ে কাজ করতে হবে। তাহলে সমাজ ও দেশ এগিয়ে যাবে।
জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার ও সিনিয়র সহকারী জজ মৈত্রী ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে হোটেল ওশান প্যারাডাইজের সম্মেলন কক্ষে সেমিনারটির সহযোগিতা করে ইউএনডিপির কমিউনিটি রিকভারি এন্ড রেজিলেন্স প্রজেক্ট।
বক্তব্য রাখেন -আইন মন্ত্রণালয়ের বিচার বিভাগের উপ সচিব এস. মোহাম্মদ আলী, কক্সবাজারের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ তৌফিক আজিজ, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ-১ ছৈয়দ মুহাম্মদ ফখরুল আবেদীন, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ-২ মাহমুদুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোহাঃ শাজাহান আলি।
সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন -প্রকল্পের উপপরিচালক ও যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আবিদা সুলতানা, অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব কুমার বিশ্বাস, সাবেক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও ইউএনডিপি’র কর্মকর্তা এডভোকেট মাহবুব মোর্শেদ, সিনিয়র সহকারী জজ আলাউল আকবর, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ দেলোয়ার হোসেন শামীম, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাং হেলাল উদ্দিন, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জেরিন সুলতানা, চকরিয়া চৌকি আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব কুমার দেব, সিনিয়র সহকারী জজ খাইরুন্নেচ্ছা, ফাহমিদা সাত্তার, সহকারী জজ রেজাউল হক, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল হক, পিপি এডভোকেট ফরিদুল আলম, লিগ্যাল এইডের প্যানেল আইনজীবী এডভোকেট ইয়াসমিন শওকত জাহান রোজী, দুদকের পিপি এডভোকেট আবদুর রহিম, এডভোকেট মফিজুল আলম, এডভোকেট আবদুল শুক্কুর, এডভোকেট মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী, এডভোকেট এ.বি.এম মহিউদ্দিন, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সুব্রত বিশ্বাস, জেল সুপার মোকাম্মেল হোসেন, ভারপ্রাপ্ত জেলা তথ্য অফিসার আবদুস সোবহান, প্রকল্পের কর্মকর্তা ও সিনিয়র সহকারী জজ কাজী ইয়াসিন হাবিব, প্রকল্পের ইন্টারন্যাশনাল কনসালটেন্ট নাসরিন খান, কনসালটেন্ট মানিক বিশ্বাস, ইউএনডিপি’র ডিস্ট্রিক্ট ফ্যাসিলেটর মোঃ দেওয়ান জিন্নাহ, ইউএনডিপি’র আখ্যং মারমা এ মং, বেসরকারি সংস্থা ইপসার আস্থা প্রকল্পের  প্রতিনিধি গুলশান আরা বেগম।

সভাপতির বক্তব্য রাখেন জেলা ও দায়রা জজ খন্দকার হাসান মোঃ ফিরোজ

জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির প্রধান সহকারী খোকন মাহমুদ ও অফিস সহকারী শফিক সরদার সার্বিক ব্যবস্থানায় আয়োজনের শুরুতে জেলা ও জাতীয় লিগ্যাল এইড কার্যক্রমের উপর ডকুমেন্টারী প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সিনিয়র সহকারী জজ কাজী ইয়াসিন হাবিব, জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার মৈত্রী ভট্টাচার্য, ও ইউএনডিপি’র ডিস্ট্রিক্ট ফ্যাসিলেটর মোঃ দেওয়ান জিন্নাহ অনুষ্ঠানে বিষয় ভিত্তিক পৃথকভাবে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, কক্সবাজার জেলা লিগ্যাল কমিটি এখন ৮ টি উপজেলা কমিটি গঠন ও ৩১ টি ইউনিয়ন কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগে ইউনিয়ন কমিটি সমুহের কার্যক্রম শূন্য হলেও গত জুন মাস থেকে ইউনিয়ন কমিটি সমুহের কার্যক্রম বেশ সক্রিয় হয়েছে। ফলে গত জুন মাস থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে বিরোধ সংক্রান্ত ৫৪ টি আবেদন জেলা লিগ্যাল এইড অফিসে এসেছে। জনবল সংকটসহ অনেক সীমাবদ্ধতা সত্বেও যা জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির অন্যতম সাফল্য ও বিচারপ্রার্থীদের সেবা প্রদানের অন্যতম পদক্ষেপ।