অনলাইন ডেস্ক : বাবরি মসজিদ মামলার ‘বিতর্কিত’ রায়ে অসন্তুষ্টির কথা জানিয়েছে ভারতীয় মুসলিমদের ঐক্যবদ্ধ সংগঠন অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ড।
শনিবার সকালে ভারতের প্রধানবিচারপতি রঞ্জন গগৈর নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চের দেয়ার রায়ের পরই তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানায় সংগঠনটি।
সুপ্রিম কোর্টে মুসলমানদের প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবী জাফরইয়াব জিলানি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বাবরি মসজিদের জমির মালিকানার পক্ষে সব ধরনের প্রমাণ সুপ্রিমকোর্ট স্বীকার করেছে। অযোধ্যায় ১৫২৮ সালে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছিল। ১৯৪৯ সালের ২২/২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সেখানে নিয়মিত নামাজ আদায়ের বিষয়টিও বিচারকরা স্বীকার করেছেন।
আইনজীবী জাফরইয়াব জিলানি বলেন, এটা ন্যায়বিচার হতে পারে না। ইসলাম ধর্মে মসজিদ কখনও পরিবর্তন হতে পারে না। যেখানে একবার মসজিদ নির্মিত হয়, সে জায়গাটি মসজিদেরই থাকে। মসজিদ স্থানান্তরিত করার কোনো সুযোগ নেই।
এদিকে অযোধ্যায় ৪৬০ বছরের পুরনো বাবরি মসজিদ গুঁড়িয়ে দেয়ার ঘটনা আইনের লঙ্ঘন ছিল বলে জানিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।
মসজিদটির জায়গায় হিন্দুদের মন্দির নির্মাণের রায়ের পাশাপাশি নতুন একটি মসজিদ নির্মাণে শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা জমি বরাদ্দেরও নির্দেশ দিয়েছেন ভারতের সর্বোচ্চ আদালত।
আর সেই জমি অধিগ্রহণ করতে হবে ভারতীয় সরকারকে। কয়েক দশক ধরে হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটিতে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা একটি ইস্যুর এভাবেই সমাধান দিয়েছেন আদালত।
প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চের এই সর্বসম্মত রায়ে দেশটিতে হিন্দু-মুসলমান বিরোধে তৎপর্যপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। ভারতের ১৩০ কোটি জনসংখ্যার ১৪ শতাংশ মুসলমান।
মামলার একটি পক্ষ সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড রায়ের রিভিউর জন্য আবেদন করতে পারেন। এতে আরেকটি দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের দিকে যাবে এই ইস্যুটি।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।