আতিকুর রহমান মানিকঃ
বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে গিয়ে ২০ মাঝিমাল্লাসহ নিখোঁজ এফবি বাকলিয়া ফিশিং-১ এর সন্ধান মিলেছে মিয়ানমারে।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকালে মিয়ানমারের জলসীমানায় বোটটির সন্ধান পাওয়া যায়।
খবর পেয়ে বোটের মালিক আবদুল হামিদ রবিবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের সদস্যদের নিয়ে সেন্টমার্টিন থেকে বোটটি উদ্ধারে রওনা দেন। মায়ানমার নৌ বাহিনী আজ (রবিবার) মাঝিমাল্লাসহ ফিশিং বোটটি কোস্টগার্ডের কাছে হস্তান্তর করবে বলে জানিয়েছেন বোটের মালিক আবদুল হামিদ। তাছাড়া ২০ মাঝিমাল্লাদের সবাই সুস্থ আছে বলে নিশ্চিত করেন তিনি।
প্রাপ্ত তথ্যে প্রকাশ, চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার উপকূলীয় রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা থেকে গত ২০ মাঝিমাল্লা নিয়ে গত ১৬ জানুয়ারি সাগরে রওনা দেয় এফবি বাকলিয়া-১ নামের মাছ ধরার বোটটি। গত ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত মাঝিমাল্লাদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। তখন ইঞ্জিন বিকল হয়ে বোটটি সাগরে ভাসছিল। ওই সময় তাদের অবস্থান কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনের পশ্চিমে ছিল বলে জানানো হয়েছিল। এরপর আরও ২ দিন অর্থাৎ ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত মাঝিমাল্লার সঙ্গে মোবাইলে সংযোগ পাওয়া গেলেও পরে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
শনিবার বিকালে মিয়ানমারের একটি মালামাল বহনকারী ট্রলারের মাঝি মাল্লারা রাখাইন রাজ্যের সীতা পাহাড় এলাকার অদূরে চরে আটকা পড়া অবস্থায় ট্রলারটিকে দেখতে পায়। তারা এগিয়ে গিয়ে আটকা পড়া মাঝিদের কাছ থেকে মোবাইল নম্বর নিয়ে এফবি বাকলিয়া ফিশিং-১ এর মালিক আবদুল হামিদকে খবর দেয়।
এ বিষয়ে কোস্টগার্ড পূর্বজোনের স্টাফ অফিসার (অপারেশন্স) লে. কমান্ডার সাইফুল ইসলাম বলেন, ইঞ্জিন বিকল হয়ে নিখোঁজ ট্রলারটির সন্ধানে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী সাগরে তল্লাশি চালায়। কিন্তু ট্রলারটি ভাসতে ভাসতে মিয়ানমার জলসীমায় চলে গিয়ে সীতা পাহাড়ের অদূরে চরে আটকা পড়ে। মিয়ানমার-বাংলাদেশ বাণিজ্যে নিয়োজিত একটি জাহাজ চরে আটকা পড়া অবস্থায় ট্রলারটি দেখে আমাদের খবর দিলে বিষয়টি বাংলাদেশ কনসুলেট অফিসকে অবহিত করি। কনসুলেট অফিস মিয়ানমার নৌবাহিনীকে বিষয়টি জানালে নৌবাহিনী মাঝিমাল্লাসহ ট্রলারটি উদ্ধার করে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।