ইমাম খাইর, সিবিএন
করোনা ভাইরাসে পরিস্থিতিতে কক্সবাজারের নিত্যপণ্যের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়িয়ে দিচ্ছে অসাধূ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। কোন স্থায়ীত্ব নেই বাজারের। সকালে এক দাম, বিকালে অন্যদাম। নেয়া হচ্ছে একেক দোকানে একেক মূল্য। যেন মগের মুল্লুক। পর্যাপ্ত যোগান, গোদামে খাদ্যপণ্য থাকার পারও বাজারদর চড়া। অকারণেই বৃদ্ধি পাচ্ছে শাকসবজি-তরিতরকারীর দামও। বেড়েছে চাল-মাংসের দাম। মাঝেমধ্যে অভিযান চালানোর পরও নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না বাজার। প্রশাসনের টিম চলে গেলেই সেই একই হালত। দ্বিগুণ-তিনগুণ মূল্য বাড়িয়ে নেয়া হয় প্রায় খাদ্যপণ্যে। সব মিলিয়ে দ্রব্যমূল্যের বাজার অস্থিতিশীল করে তুলেছে রক্তচোষা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট।
এদিকে, আমদানিমূল্য না বাড়লেও খুচরা বাজারে দাম বাড়ানোর অভিযোগে কক্সবাজার শহরের সবচেয়ে বড় পাইকার ও খুচরা বাজার ‘বড়বাজার’ এর বিভিন্ন দোকানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে।
শনিবার (২১ মার্চ) দুপুরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ শাহরিয়ার মোক্তারের নেতৃত্বে এই অভিযানে ৭ দোকানদারকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ১ জন পাইকারকে দেয়া হয়েছে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড।
জরিমানাপ্রাপ্ত দোকানগুলো হলো- ইমন স্টোর ৫০ হাজার, বার আওলিয়া স্টোর ও মোক্তার স্টোর ৩০ হাজার, হাসান ট্রেডার্স, রিমা স্টোর ও হমেল ট্রেডার্স ২০ হাজার এবং রাসেল ট্রেডার্স ১০ হাজার টাকা।
একই অভিযোগে কাশেম এন্ড সন্সের মিজানুর রহমানকে আটক ও ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শাহরিয়ার মোক্তার। এ সময় বড় বাজার ও আশপাশের অন্যান্য দোকানদারদের সতর্ক করা হয়েছে।
অভিযানকালে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)’র ওসি শেখ আশরাফুজ্জামান, ইন্সপেক্টর মানস বড়ুয়া, পৌর প্যানেল মেয়র মাহবুবুর রহমান, কক্সবাজার দোকান মালিক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি মোস্তাক আহমদসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
বড়বাজারে ৭ দোকানদারকে জরিমানা, ৭ দিনের কারাদণ্ড পাইকারের
পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।