সেলিম উদ্দীন, ঈদগাঁহ:
নবগঠিত কক্সবাজারের ঈদগাঁহ থানায় সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সাংবাদিক ও নানা সংগঠন।
প্রবীনদের সাথে তাল মিলিয়ে তরুনদের পাশাপাশি নবীনদের অনেকেই কাজ করছে প্রতিযোগিতা নিয়ে।
তাদের মধ্যে কেউ কেউ গ্রহণযোগ্যতাও অর্জন করেছে।
তারপরও সাংবাদিকদের মধ্যকার ঐক্য কেন জানি দিন আদিন কমে যাচ্ছে।
আশার কথা- নামের একটু হেরফের করে গড়ে উঠছে সাংবাদিকদের একাধিক সংগঠন।
সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষা কিংবা ঐক্যবদ্ধ হওয়ার মন্ত্রের কথা শুনিয়ে নতুন নতুন সংগঠন গড়ে উঠলেও কার্যত এরা কতোটুকু ভূমিকা রাখতে পারছে থেকেই যাচ্ছে প্রশ্ন?
এসবের পেছনে কেউ কেউ ক্ষমতার দ্বন্দ্ব আবার কেউ কেউ স্বেচ্ছাচারি মনোভাবকে দায়ী করছেন।
আমার জানা মতে, ঈদগাঁহতে একই নামে কর্মরত সাংবাদিকদের পৃথক দুটি প্রেসক্লাব রয়েছে।
সেখানে সাংবাদিকদের দুটো গ্রুপ বিদ্যমান!
শুরুতেই আত্মপ্রকাশ করা সংগঠন দুটি একটা সময় তাদের ভালো কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে সকলের কাছে গ্রহনযোগ্যতা অর্জন করলেও সেখানেও ভাঙন ধরেছে।
সেখান থেকে পদত্যাগ করা বেশ কজন নতুন অনেককে নিয়ে আরেকটি ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেছেন।
নতুন কমিটি ঘোষনা করেই তারা বেশ ক’টি কর্মসূচি পালন করে তাদের অস্বিত্ব জানান দেয়ার চেষ্ঠাও করেছেন।
তবে, গেল ঈদত্তোর প্রেসক্লাবের নির্বাচন উপলক্ষে একটি নতুন আহবায়ক কমিটিকে দায়িত্ব দেয়ার পরেও আকস্মিক যেন ঝড়ের মুখে পতিত হয়েছে।
এরই মধ্যে বেশ কজন সদস্য নতুন সদস্য নিয়ে নতুন নতুন সংগঠন করে সেই ধাক্কা সামলানোর চেষ্ঠা করলেও তাতেও যেন কাজের কাজ কিছুই হচ্ছেনা।
মুদ্দা কথা, ঈদগাঁহতে যেখানে প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধভাবে একটি প্রেসক্লাব করতে পারেনি।
সেখানে তাদের কারোরই কর্মকান্ড তেমন চোখে না পড়লেও তারা দুটো ভাগে বিভক্ত তা প্রমানিত।
লেজুড় বৃত্তি না করে নিজেদের মতো করে স্বতন্ত্র পথ চলা সাংবাদিকরা আজ দুটি ভাগে বিভক্ত।
দীর্ঘদিন ধরে ঝিমিয়ে থাকা প্রেসক্লাবকে গতিশীল করার নাম করেই হঠাৎ করে আহবায়ক কমিটি দিয়ে কার্যক্রম শুরু করা হয়।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কর্মরত সাংবাদিকরা বিভিন্ন সংগঠন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সর্বস্তরের সাংবাদিকদের স্বার্থ রক্ষায় না নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় আত্ম নিয়োগ করছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠাকে অনেকেই স্বাভাবিক মনে করছেন।
স্বার্থ রক্ষার্থে একাধিক নামের সংগঠন গজে উঠলেও ঈদগাঁহ প্রেসক্লাব আদতে সাংবাদিকদের একটি ক্লাব ছাড়া আর কিছুই না।
নির্বাচনের কথা আসলে এখানে দুটি প্যানেল বড় বড় বুলি আউড়ানো ছাড়া ঈদগাঁহ প্রেসক্লাব সাংবাদিকদের মান উন্নয়ন ও স্বার্থ রক্ষায় কোন ভূমিকাই রাখতে পারছেনা।
বর্তমানে প্রেসক্লাব গঠনের কথা বলে সাথে যুক্ত থাকারাই অপর আরেকটি সংগঠন করেছে।
শুরুর দিকে এসব সংগঠন জমজমাট থাকলেও পরে কিন্তু ঝিমিয়ে পড়ে।
ঈদগাঁহতে অনলাইন পোর্টালের সাথে যারা যুক্ত তারাও দ্বিধা বিভক্ত।
তবে ফটো সাংবাদিকদের কোন সংগঠনের অস্বিত্ব পাওয়া যায়নি।
ফটো সাংবাদিকদের সংগঠন করা হলে সেখানেও কি স্বার্থ সংশ্লিষ্টরা রেষারেষি করবে না?
মুলতঃ নিজেদের মধ্যকার দলাদলিতে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সংগঠনের জন্ম হলেও এসকল সংগঠনগুলো আসলে নিজেদের অধিকার কিংবা স্বার্থ রক্ষায় কতোটুকু ভূমিকা রাখতে পারছে, আদৌ এসকল সংগঠন তাদের দায়িত্বগুলো কারো লেজুড়বৃত্তি না করেই যথাযথভাবে পালন করতে পারবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।
বাড়ছে সাংবাদিক সংগঠন, কার্যকর কতটুকু?
পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।