বিনোদন ডেস্ক : আবারো মেধাতালিকার শীর্ষে উঠে এলো সানি লিওনের নাম। কলকাতার আশুতোষ কলেজে স্নাতক স্তরে প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য ইংরেজি বিভাগের প্রকাশিত মেধা তালিকায় শীর্ষস্থানে রয়েছেন সানি লিওন।
ইংরেজির মেধাতালিকায় প্রথমে থাকা সানি লিওন বেস্ট অফ ফোর অর্থাৎ সব থেকে বেশি যে চার বিষয় তাতে ৪০০ এর মধ্যে ৪০০ নম্বর পেয়েছেন। তিনি পাশ করেছেন উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ থেকে।
স্বভাবতই বিষয়টি নিয়ে ভর্তির আবেদনকারীদের মধ্যে প্রশ্ন জেগেছে।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজারে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা যায়, বিষয়টি নিয়ে কলেজের সহ-অধ্যক্ষ অপূর্ব রায়কে ফোন ও মেসেজ করে কোনও উত্তর পাননি প্রতিবেদক।
কলেজটির কম্পিউটার সায়েন্সের মেধা তালিকাতেও রয়েছে অদ্ভুত সব ত্রুটি। কম্পিউটার সায়েন্সের জেনারেল ক্যাটেগরির তালিকায় দেখা যাচ্ছে ২ থেকে ২৮ নম্বরে যারা রয়েছেন তাদের নামের জায়গায় কিছু অক্ষর লেখা। কোন বছরে এরা পাশ করেছেন, রোল নম্বরে তাতেও বিভ্রান্তি। সকলেই বেস্ট অফ ফোর এ ৩৯৭ নম্বর পেয়েছেন। প্রত্যেকেই পাশ করেছেন উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ থেকে।
শিক্ষা মহলের একাংশের মত, এখন কলেজগুলিতে সম্পূর্ণ অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া চলে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে এই ভর্তির ওয়েবসাইট সম্পূর্ণটাই দেখে তৃতীয় কোনও সংস্থা। তারা আবেদনপত্র থেকে মেধা তালিকা প্রস্তুত করে দেয়। ভর্তির যাবতীয় তথ্য আপলোড করলেও কোনও কোনও ক্ষেত্রে আবেদনকারীর সংখ্যা এত বেশি হয় যে সবকিছু খতিয়ে দেখা প্রাথমিকভাবে সম্ভব হয় না। চাহিদা অনুযায়ী কত নম্বর পেয়েছে সেটা দেখে নিয়ে তালিকা তৈরি করে ফেলা হয়।
মেধাতালিকার শীর্ষে সানি লিওনের নাম চলে আসার মতো ভুল আগেও অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চোখে পড়েছে। ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ কেউ এই কাণ্ডটি করে থাকেন। বোঝাই যায় এই সব নামের আড়ালে যারা রয়েছেন, তারা ভর্তি হবেন না। কারণ ভর্তি হলে সামনা সামনি নথি যাচাই করার সময় তাদের পক্ষে নথি দেখানো সম্ভব হবে না।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।