সিবিএন ডেস্ক:
চলতি বছর মাধ্যমিকে চার ধরনের মোট ১১টি বইয়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এগুলো হল- ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ইংরেজি, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বসভ্যতার ইতিহাস। এই তিন বিষয়ের আছে মোট আটটি বই। এছাড়া ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির আনন্দপাঠ বা দ্রুতপঠন বইগুলো নতুন করে তৈরি করা হয়েছে।

সূত্র জানায়- মাধ্যমিকের বইয়ে এবার নতুন সংযোজন হচ্ছে প্রত্যেকটির কভার পেজের ভেতর দুই অংশে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ এবং বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ওপর বাছাইকৃত ৭২টি চিত্র। এছাড়া নবম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ বই পরিবর্তন করে সহজ পাঠ করা হচ্ছে।

এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, নানা কারণে এ বছর বইয়ের মুদ্রণ কাজ শুরু করতে দেরি হয়েছে। তবে ইতোমধ্যে মাধ্যমিকের প্রায় আড়াই কোটি এবং প্রাথমিক স্তরের বেশ কিছু বই ছাপার কাজ শেষ হয়েছে। গত দুই সপ্তাহ থেকে প্রাথমিকের বই জেলা-উপজেলা পর্যায়ে পাঠানো হলেও প্যাকেটিং সমস্যার কারণে মাধ্যমিকের বই পাঠানো শুরু করা যায়নি। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে শুরু করা হবে। ডিসেম্বরের শেষের দিকে দেশের সকল জেলায় ৩৫ কোটি পাঠ্যবই পৌঁছে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।

সূত্র জানায়, মুদ্রাকরদের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সকল বইয়ের মুদ্রণকাজ শেষ হবে না। বেশকিছু প্রতিষ্ঠান মধ্য জানুয়ারি পর্যন্ত বই সরবরাহের সময় পাচ্ছে। তাছাড়া কভার অনুমোদনে জটিলতা ও কাগজের দাম বৃদ্ধিসহ বেশ কিছু কারণে মুদ্রণের কাজ আগে শুরু করা যায়নি। এ(১১ নভেম্বর) রাতে কারণে পিছিয়ে আছে মুদ্রণকাজ। তবে এনসিটিবির চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, মুদ্রাকরদের বুঝিয়ে হলেও ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করে আনা হবে।

২০১০ সাল থেকে সরকার নবম শ্রেণি পর্যন্ত বিনামূল্যে পাঠ্যবই দিচ্ছে। সেই থেকে প্রতিবছর ১ জানুয়ারি উৎসবের মাধ্যমে শিশুদের হাতে বই তুলে দেয়া হয়। উৎসবের নাম দেয়া হয়েছে পাঠ্যপুস্তক উৎসব বা বই উৎসব।

এদিকে মহামারির কারণে এ বছর বই উৎসব হবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, করোনা সংক্রমণের কারণে ১ জানুয়ারি কেন্দ্রীয়ভাবে বই উৎসব পালন করা হবে না। তবে স্কুলে স্কুলে ও শিশুদের কাছে বই যথাসময়ে পৌঁছে দেয়া হবে।