(পাঠকের অভিমত )

কৃষি কাজই আমার পেশা। কৃষি নিয়ে কাজ করতে গিয়ে জীবনে অনেক মানুষের সাথে মিশেছি। নানান পেশাজীবি মানুষের সাথে মিশতে গিয়ে সৎ,মেধাবী, সহজসরল মানুষের যেমন দেখা পেয়েছি, তেমনি নানান রংঢং মানুষেরও দেখা পেয়েছি। ঘুনেধরা বর্তমান রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে, স্বার্থলোভী নিম্ন মানসিকতা সম্পন্ন নেতাদের ভিড়ে এমন একজন মানুষের স্পর্শ পেয়েছি। যার সুস্থ, সুন্দর উন্নয়নের মানসিকতা, মেধা,শ্রম, সাহস ও আন্তরিকতায় কক্সবাজার শহর গোটা বিশ্বের কাছে একটি আধুনিক পর্যটন নগরীতে পরিণত হচ্ছে। নানান উন্নয়নে আলোকিত হচ্ছে উনার জন্ম স্হানও।
বলছি- কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সম্মানিত চেয়ারম্যান, বৃহত্তর ঈদগাহ বাসীর গর্বেরধন, আমাদের এলাকার অভিভাবক লে: কর্ণেল (অবঃ) ফোরকান আহমেদের কথা।

কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাহ ইউনিয়নের মাইজ পাড়া হল লে:কর্ণেল ফোরকান আহমেদের জন্মস্হান। সে হিসাবে তিনি আমার এলাকার বড়ভাই। আমাদের গ্রামের অনেকে রয়েছেন সরকারের বড়বড় কর্মকর্তা, প্রশাসনের কর্মকর্তা,রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি ডাক্তার সহ- নানান পেশাজীবি মানুষ।এ ছাড়াও বিদেশে অবস্থানরত অনেকেই আছেন প্রচুর অর্থ সম্পদের মালিক।ওনারা নিজ নিজ অবস্থান থেকে চাইলে এলাকার মানুষের ভাগ্যউন্নয়নের জন্য অনেক কিছু করতে পারতেন। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেন না।কেউ এলাকার অসহায় মানুষের পাশে দাড়ান না।

বৃহত্তর মাইজ পাড়ার সড়কটি ছিল খানাখন্দভরা। লে: কর্ণেল (অবঃ) ফোরকান আহমেদ কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হওয়ার অনেক আগে সড়কটি নির্মাণ করে দিয়েছেন। এলাকার উন্নয়নের মানসিকতা ছিল বলে, নিজের বিবেক জাগ্রত ছিল বলেই তিনি সামরিক বাহিনীতে কর্মরত অবস্থায় সড়কটির কাজ করে ছিলেন।

আমাদের এলাকার বিদ্যুৎ ব্যবস্হা ছিল নাজুক। মটর,ফ্রিজ,টেলিভিশনের কথা বাদই দিলাম, সামান্য বাল্ব পর্যন্ত পুরোপুরি জ্বলতো না। তিনি সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ লাইন পরিবর্তন করে পাওয়ারফুল বিদ্যুৎ ব্যবস্হা করে দিয়ে ছেন। আলহামদুলিল্লাহ, এখন আমাদের এলাকায় বিদ্যুৎ সমস্যা নেই বললেই চলে। আমাদের গ্রামের অলিগলি ছিল অন্ধকারে ভরা। প্রায় সময় নানান চুরির ঘটনা ঘটে। তিনি আমাদের গ্রামে লাইটিং ব্যবস্হা করে দিয়ে পুরো গ্রামকে আলোকিত করে দিয়েছেন। তিনি এলাকায় মসজিদ নির্মাণ করেছেন এবং বেশ কয়েকটি মসজিদ নির্মাণে সহায়তাও করেছেন। এছাড়াও করোনা চলাকালীন সময়ে অসহায় মানুষের জন্য ট্রাকভর্তি ত্রাণ বিতরণ করেছেন। তিনি ঈদগাহকে উপজেলায় রুপান্তরিত করতে অনেক চেষ্টা করেছেন এবং করে যাচ্ছেন। কক্সবাজার শহরে আবর্জনায় ভরা দুর্গন্ধযুক্ত তিনটি পুকুরকে আধুনিক স্পষ্ট করে সুন্দরময় করে দিয়েছেন। ইতিমধ্যে তা লাখো মানুষের নজর কেড়েছেন। কক্সবাজার শহরে চার লাইন বিশিষ্ট্য সড়ক নির্মাণ করে দিচ্ছেন। নানান পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করে কক্সবাজারকে একটি স্মার্ট শহরে পরিনত করে দিচ্ছেন। তিনি প্রতিহিংসার রাজনীতি যেমন বিশ্বাস করেন না, তেমনি প্রতিশ্রুতির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকার উন্নয়নও করেন না। তিনি যেটি করেন সেটি বলেন। অহেতুক মিথ্যা প্রতিশ্রুতির বুলি ওড়িয়ে নিজের রাজনৈতিক জীবন গড়তে চান না। তিনি হৃদয়ের অফুরান ভালবাসা ও উন্নয়নের বাস্তবায়ন করে মানুষের হৃদয়ে স্হান করে নিতে চান। তিনি কতটা পরোপকারী, কতটা মানবপ্রেমী তা বলে শেষ করা যাবেনা। ইনশাআল্লাহ, তিনি সুস্থ সুন্দর উন্নয়নের মানসিকতা দিয়ে একদিন অনেক দূর এগিয়ে যাবেন। এগিয়ে নিবেন কক্সবাজারকে । কারণ তিনি কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী মানুষ।

রহিম উল্লাহ
দক্ষিণ মাইজপাড়া
ঈদগাঁও ,সদর ,কক্সবাজার।
01823692554