অবনী, নদীর নাম ভদ্রাবতী।

এবং ভদ্রাবতীরা বাকের ভাই!

 

নদীর নাম ভদ্রাবতী এবং পাথরের আঁকার কবি।

সে গড়াতে লাগলো রিছাং ঝর্ণায়, সে গড়ালো আড়ং ফ্যাশনে, উত্তরে,

কুয়াশা, রৌহাদহ, বামিহাল, শিবলী কলমফুলে

এবং তাদের সঙ্গে দেখা হলো পাঠান বংশে।

 

দুঃখিত, আমি বাকের ভাই।

 

ক, খ, ১, ২ হযবরল সমুদ্রের গাহন সেরে

একবার ভুল মঞ্চস্থ আমের রাজ্যে

এবং রানী ভবানীর মেয়েকে দ্যাখে সে রসুলপুরের শালবনে।

এবং ভদ্রাবতীর গতিপথ শুন্য।

 

 

অবনী, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পায়।

মুক্তিযোদ্ধারা ভাত পায়না!

 

আঙুলের আতশবাজী আলীর সুড়ঙ্গে, আর খাঁ-বাড়ীতে হেমন্ত!

ডিমে গ্লিসারিন মুড়িয়ে-

তোমার শরীরে আমার একলা আঁচল।

ভেবোনা, আমি মেঘে মেঘে আসছি…

তুমি সমুদ্রের গা ছুয়েই থেকো।

 

দূর পাগলী, ভাতে ভয় কেন?

 

আমি সমুদ্রে যাইনা…

আমি মধুপুর চত্ত্বরেই রাত খেতে খেতে তারা হই;

যুগান্তর ট্রাভেলে একটু ঘুমিয়ে নেই

সবুজ বাতি অবশ্য একটু বেয়াদব,

যেহেতু সে-

কারো রক্তজবার কারণ।

 

 

অবনী, আমার অপলাতক মন।

আর অপলাতক মন পালাতে জানেনা!

 

আমার অপলাতক মন।

আমিতো পালিয়েই থাকি

তুই ডানে হাটলে, আমি বাঁয়ে হেঁটে যাই

তুই সূর্যের ঝিলিক হতে চাইলে, আমি যোজন-যোজন দূরের

অন্ধকার গ্রহ বনে যাই।

তোর হরবলা চোখের প্রতিধ্বনি, আর আমার নিঃষ্প্রভ প্রতিচ্ছায়া;

তোর তীর্থগামী অলিখিত অভিমন্যুর পশ্চাতে-

আমি পালিয়েই আছি।

 

বিশ্বাস কর, অপলাতক মন পালাতে পারেনি।

 

মনের ক্রিয়ায় যেসব বৃত্ত-

চন্দ্রদ্বয় বনাম সূর্যাস্ত, সূর্যাস্ত বনাম চন্দ্রদ্বয়

ঘুরে ফিরে তোর বৃত্তেই সমাপ্ত।

 

সে পারেনি পালাতে আজো!

 

 

 

(বিঃদ্রঃ- এই তিনটি কবিতার মাধ্যমে দেশ-জাতী, কোন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে আঘাত বা সম্মানহানী করা হয়নি)

লেখক পরিচিতি

কবির হোসেন ,কবি ও গল্পকার , kabirhossain02021998@gmail.com