(সাড়া জাগানো গান হোটেল ক্যালিফোর্নিয়ার বাংলা অনুবাদ)


মোহাম্মদ ম্যাক্স


কোন এক মরুভূমির অন্ধকার মহাসড়কে

ঠান্ডা বাতাসে চুল উড়ছে

আর ভেসে আসছে উষ্ণ বৃক্ষদেবীর সৌরভ,

অদুরে দেখা এক উজ্জীবিত আলোর ঝিলিক

রাজ্যের ক্লান্তি আমাকে ভর করেছে সেই সাথে চোখে ঝাপসা দেখছি,

আমাকে আজ এখানে থামতেই হবে।

ঐ যে দাঁড়িয়ে সে দরজায়, শুনতে পেলাম এক যাজকের ঘন্টি,

মনে হল আমার, না হয় এটি স্বর্গ অথবা দোজখ,

অতপর সে আলো জ্বালাল, আমায় পথ দেখিয়ে নিয়ে গেল,

করিডর থেকে আওয়াজ আসছে, মনে হল আমি এই বলতে শুনতে পেলাম

হোটেল ক্যালিফোর্নিয়ায় আপনাকে স্বাগতম!

কি চমৎকার জায়গা

কি অপরুপ অবয়ব ,

বছরের যে সময়টিতে আসনা কেন

সবসময় এখানেই প্রচুর রুম পাওয়া যায়।

তার মন যেন রেশমি সুতো দিয়ে ঢাকা,

নীচে মার্সিডিজের সমাহার

সাথে অনেক সুদর্শন ছেলেমানুষ

যাদের সে বন্ধু হিসেবে গ্রহন করে,

আর তাদের গ্রীস্মের ঘামে ভেজা নাচ,

কিছু স্মৃতিতে আছে আর কিছুর মনেই নেই,

অধিনায়ককে ডেকে বললাম

আমার মদ দাও

জবাবে, সেই ১৯৬৯ সাল থেকে পানীয় নেই এখানে,

তবুও অনেক দূর থেকে আওয়াজ আসছেই

মাঝরাতে শুনতে পায়

হোটেল ক্যালিফোর্নিয়াতে তোমায় স্বাগতম ।

কি চমৎকার জায়গা

কি অপরুপ অবয়ব ,

তোমার থাকাটা পুরু উপভোগ কর,

কি বিস্ময় !

আর নিয়ে এস সব নিষিদ্ধ ‘ কর্ম’।

আয়নার কাচ দিয়ে সিলিং ,

গোলাপি স্যাম্পয়েইনে বরফের স্পর্শ।

এখানে আমরা নিজেরা নিজেদের কাছে যেন বন্দী,

গুরুর রুমে সবাই

ভোজনে ব্যস্ত,

নেশাকে হত্যা করতে চাই, কিন্তু ধারালো ছুরি দিয়ে সবাই তাতে ব্যর্থ হয়।

সর্বশেষ আমার যা মনে পরে

আমি দরজার দিকে যাচ্ছিলাম,

আমি যেখান থেকে এসছি সেখানে ফিরে যেতে হবে আমায়,

‘আরাম কর’ বলল নৈশ প্রহরী ,

আমাদের অনেক কর্মসূচি আছে,

এখানে একবার ঢুকলে আর বের হতে পারেনা।