তাওহীদুল ইসলাম নূরী
আজ ০৬ ফেব্রুয়ারি। ১৯৯৮ সালে যাত্রা শুরু করা কক্সবাজারের অন্যতম শীর্ষ স্থানীয় সংবাদপত্র দৈনিক হিমছড়ির ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। হাঁটি হাঁটি পা পা করে গৌরবময় ২৪ টি বসন্ত অতিক্রম করে আজ সফলতার তৃতীয় যুগে পা রাখতে যাচ্ছে পত্রিকাটি। সেই প্রতিষ্ঠার পর থেকে গতানুগতিক পথে না হেঁটে সকল অশুভ ও অকল্যাণ থেকে দূরে গিয়ে হিমছড়ি পরিবারের সুন্দর ও কল্যাণের পথে চলার যে প্রচেষ্টা সেটি অনান্য পত্রিকাগুলোর জন্য মড়েল। উন্নয়ন সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী দৈনিক হিমছড়ি তার পাঠক থেকেই সৃষ্টি করেছে একঝাঁক শিক্ষিত এবং মেধাবী সংবাদিক ও সংবাদকর্মী।
প্রিয় কক্সবাজারকে বর্তমানে অনেকে সংবাদপত্র এবং সংবাদকর্মীর শহর বলে আখ্যায়িত করেন। কারণ, ছোট এই জেলা থেকে প্রতিদিন প্রকাশিত হয় প্রায় বিশটির অধিক সংবাদপত্র। একশ কপি কিংবা এরও নিচে প্রকাশিত হয় এমন পত্রিকাও রয়েছে প্রকাশিত এ সকল পত্রিকার মাঝে। ব্যক্তি কিংবা গোষ্ঠীবিশেষের স্বার্থহাসিলের জন্য প্রকাশিত ঐসব নামেমাত্র পত্রিকার সাথে জড়িত কিছু লোকের জন্য অনেক সময় গোটা সাংবাদিক সমাজকেই বেকায়দায় পড়তে হয়। আর সেই জায়গায় হিমছড়ির ক্ষেত্রে দেখা যায়, পত্রিকাটি আজ শুধুমাত্র কক্সবাজার জেলা নয় দক্ষিণ চট্টগ্রামের লক্ষ লক্ষ মানুষের মুখপত্রের ভুমিকা পালন করছে।
উন্নয়ন সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী দৈনিক হিমছড়ির সাথে জড়িত প্রতিটি লোকই শিক্ষিত এবং ব্যক্তিত্বসম্পন্ন। নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তি কিংবা গোষ্ঠীর না হয়ে জেলার সকল মতের সকল মানুষের হওয়ার প্রয়াস পত্রিকাটির প্রতিটি সংবাদে চোখ রাখলেই বুঝা যায়। সেজন্যই হয়তো আজ পত্রিকাটি জেলা পেরিয়ে সম্পূর্ন দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
শুধুমাত্র সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে সীমাবদ্ধ না থেকে ইফতার পার্টি, শীতার্ত, বন্যার্ত মানুষ, অসহায় শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানো, শিক্ষা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক নানান কর্মকাণ্ডে উদ্যোগগ্রহণ ও বাস্তবায়নসহ প্রয়োজনভেদে নানান কল্যাণমুলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে হিমছড়ি আজ একটি সতন্ত্রধর্মী প্রতিষ্ঠান। করোনা মহামারীতেও হিমছড়ির অবদান প্রশংসার দাবিদার। পরিশেষে পত্রিকাটি আজকের এই অবস্থানে আসার পিছনে যাদের অবদান এবং আজকের এই অবস্থান ধরে রাখার জন্য শ্রদ্বেয় সম্পাদক হাসানুর রশীদ ভাইসহ যারা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সফলতার পঁচিশতম বসন্ত তথা তৃতীয় যুগে পদার্পণের এই শুভক্ষণে একটাই কামনা
“অতীতের মত গৌরবময় হোক হিমছড়ির আগামীর দিনগুলো।
সফলভার দ্বারপ্রান্তে এগিয়ে যাক হিমছড়ি “।
লেখকঃ শুভাকাঙ্ক্ষী ও নিয়মিত কলাম লেখক ,দৈনিক হিমছড়ি। শাহারবিল সদর,চকরিয়া,কক্সবাজার
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।