আবদুল্লাহ আল মারুফ
বাহান্নের একুশ গত হয়েছে ঊনসত্তর বছর আগে…
তবুও একুশ জাগ্রত থাকে গ্রীষ্ম, বসন্ত, মাঘে।
জীবন দিয়েছে সালাম, রফিক, শফিক, বরকত, জব্বার..
তাই বলে ভাষা রক্ষার দায়িত্ব থেকে হয়েছে কে নির্ভার?
ফেব্রুয়ারি এলে শহিদ বেদীতে ফুল দেয়াটাই একুশ?
সারাবছর যদি মেতে থাকি সবাই পরে ভিনদেশী মুখোশ!
একুশ মানে কি খালি পায়ে শুধু প্রভাত ফেরির গান?
বাংলা ভাষার নাম মুখে শুধু মনে নাই সম্মান!
তবুও যারা বাংলার আড়ালে বাজায় বিদেশী বীণ..
ওরা কৃতঘ্ন,ভাষা-রাজাকার একুশকে করে মূল্যহীন।
একুশকে বেঁচে খেয়েছে যারা গল্প, কবিতা, গানে..
তাঁরা কি বাংলাকে লালন করে শ্রদ্ধাভরে প্রাণে?
সময় এসেছে একুশের ফুল হাতে নিয়ে পথ হাঁটো,
ফেব্রুয়ারি বাদেও প্রতিটা সময় একুশের উল্লাসে মাতো।
চেতনার একুশ প্রেরণার একুশ স্মৃতিতে অম্লান..
ইতিহাসে বিরল ভাষার জন্য দিয়েছে রক্ত প্রাণ।
একুশ মানে ফুল নয় শুধু, নয়তো প্রভাত ফেরি..
একুশ মানে বাংলার প্রতি মমতা মন-প্রাণভরি।
চলো এবারে হাত হাত রেখে প্রাণ বাঁধি নিরঙ্কুশ..
লোক দেখানো না হোক এবার একুশ সালের একুশ।
লেখকঃ আবদুল্লাহ আল মারুফ, শিক্ষার্থী, একাদশ শ্রেণি, সরকারি বিজ্ঞান কলেজ, তেজগাঁও, ঢাকা
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।